করোনা মহামারীতে বিশ্বসেরা ১০ ধনী আরও ধনী হয়েছেন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ১৭, ২০২২, ০১:১৩ পিএম

করোনা মহামারীতে বিশ্বসেরা ১০ ধনী আরও ধনী হয়েছেন

বিশ্বের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মহামারী এলেই বহু মানুষকে পথে বসতে হয়। তবে সেসব মহামারীতে পোয়াবারো হয় ধনীদের। যেমন, এবারের করোনা মহামারী। চলমান এই মহামারী বহু মানুষকে দরিদ্র বানালেও বিশ্বের ধনকুবেরদের সম্পদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনটাই জানা যাচ্ছে দাতব্য সংস্থা অক্সফামের এক প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি সোমবার জানিয়েছে, মহামারী শুরুর পর ২০২০ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনীর সম্মিলিত সম্পদ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীতে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ২১ হাজার মানুষ। সাধারণত দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভা শুরুর আগে অক্সফাম বৈশ্বিক বৈষম্যের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।

richest-person-share

অক্সফাম জিবির প্রধান নির্বাহী ড্যানি শ্রীসকান্দারাজাহ বলেন, অর্থনীতি, ব্যবসা ও রাজনৈতিক খাতের প্রভাবশালীদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্যই প্রতিবছর দাভোস সম্মেলনের আগে তাদের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এবারকার প্রতিবেদনে বলা হয়, “এ বছর, যেটা ঘটছে তা হিসাবের বাইরে। এই মাহামী চলার সময় প্রায় প্রতিদিন একজন করে নতুন শতকোটিপতি তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে লকডাউন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হ্রাস, বৈশ্বিক পর্যটন সংকোচনের কারণে বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ লোকসানে পড়েছে এবং এর ফলে, ১৬ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমায় নেমে গেছে।”

অক্সফামের প্রধান নির্বাহী বললেন, “আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কোথাও খুব গভীরে ত্রুটি রয়ে গেছে।”

দাভোসে প্রতি বছর আয়োজিত সভায় সাধারণত কয়েক হাজার রাজনৈতিক ও করপোরেট প্রতিনিধি, বিনোদন জগতের তারকা, প্রচার কর্মী, অর্থনীতিবিদ ও সাংবাদিকরা জড়ো হয়ে আলোচনা, পান পর্ব ও মতবিনিময়ে অংশ নেন। মহামারীর কারণে গতবারের মত এবারও এই সভা অনলাইনে হচ্ছে, যা শুরু হয়েছে সোমবার। শুরুতে শারীরিক উপস্থিতিতে সভা আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনটি ছড়িয়ে পড়ায় তা বাদ দেওয়া হয়।

এবারের আলোচ্যসূচির মধ্যে থাকছে মহামারী নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা, টিকা পাওয়ার সমতা ও জ্বালানি পরিবর্তন।

ফোর্বস ম্যাগাজিনের বরাতে অক্সফামের প্রতিবেদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী হিসেবে- ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, বেরনাহ আরনোহ ও পরিবার, বিল গেটস, ল্যারি এলিসন, ল্যারি পেইজ, সের্গেই ব্রেইন, মার্ক জাকারবার্গ, স্টিভ বলমার ও ওয়ারেন বাফেটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

Poverty

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারী শুরুর পর যৌথভাবে তাদের মূলধন ৭০০ বিলিয়ন বা সাত লাখ কোটি ডলার থেকে বেড়ে দেড় ট্রিলিয়ন বা ১৫ লাখ কোটি ডলার হয়েছে। তবে তাদের সবার সম্পদ সমানভাবে বাড়েনি, যেমন ইলন মাস্কের সম্পদ ১০০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে, অন্যদিকে বিল গেটসের সম্পদ বেড়েছে ৩০ শতাংশ।

বিশ্ব ব্যাংকের তথ্যউপাত্তের ভিত্তিতে করা অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগের অভাব, ক্ষুধা, জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতি চার সেকেন্ডে একজনের মৃত্যুর কারণ হচ্ছে।

Link copied!