ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে দুই রোগীর শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ‘ভারতীয় ধরন’ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৪ মে) ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
হাসপাতালের পরিচালক বলেন, ‘ভারত থেকে আসা দুজনের মধ্যে আমরা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করোনা ভাইরাস পেয়েছি। নির্দেশনা মোতাবেক তাদের টেস্ট হাসপাতালে (বক্ষব্যাধি হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে। ভারত থেকে যারা আসছেন তাদের আমরা কঠোর নজরদারির মধ্যে রেখেছি।’
সময়টা যেহেতু চ্যালেঞ্জিং, তাই প্রতি মুহূর্তেই নিজেদেরই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির আরও বলেন, ‘আমাদের সবারই করোনা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, মাস্ক পরতে হবে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।’
দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ভারতীয় ধরনটি বিশ্বের এ পর্যন্ত ৪৪টি দেশে শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ডব্লিউএইচও’র সদর দপ্তরে আযোজিত সংস্থাটির সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। বুধবার (১২ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
ডব্লিউএইচও’র ওই ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মপরিধির ছয়টি অঞ্চলের ৪৪টি দেশে চার হাজার ৫০০টিরও বেশি নমুনায় ভারতীয় ধরনটি শনাক্ত হয়েছে। জিনগত তথ্যভাণ্ডার জিআইএসএআইডি থেকে এই সংখ্যা গণনা করা গেছে।’
ভারতের বাইরে যুক্তরাজ্যে এই ধরনটির সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি উল্লেখ করে সংস্থাটির ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, ‘ডব্লিউএইচও নতুন আরও পাঁচটি দেশে ধরনটি শনাক্ত হওয়ার প্রতিবেদন পেয়েছে।’
এর আগে, সোমবার (১০ মে) সারাবিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন ভারতীয় ধরনকে ‘বিশ্বের উদ্বেগ’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ওইদিন ডব্লিউএইচও’র এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার কারিগরি কমিটি করোনাভাইরাসের নতুন ভারতীয় ধরনকে ‘বিশ্বের উদ্বেগ’ হিসেবে সতর্ক করে।