এপ্রিল ১০, ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক অবস্থা নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসেদ নেতা শেখ হাসিনা। প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, আটলান্টিক পার হলেই কি যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা পাল্টে যায়?
সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন।
সংসদ নেতা বলেন, “আমেরিকা গণতন্ত্র চর্চা করে তাদের আটলান্টিক পর্যন্ত। এটা যখন পার হয়ে যায়, তখন তাদের গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটাই বদলে যায়।”
যুত্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে কথা বলার জন্য ৩জন কংগ্রেস সদস্যকে বহিষ্কার করার ঘটনা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, “আমেরিকা এত গণতন্ত্রের কথা বলে। তাদের দেশে গণতন্ত্র চর্চার অবস্থা কী? যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্যে তিনজন কংগ্রেস সদস্যকে বরখাস্ত করা হয় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কথা বলার অপরাধে।”
এসময় তিনি আরও বলেন, “আমেরিকায় প্রতিদিন দেখা যায়, স্কুলে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে যাচ্ছে, ক্লাবে ঢুকে যাচ্ছে। এভাবে প্রতিনিয়ত সেখানে শিশুসহ অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। ওই তিন কংগ্রেস সদস্যের অপরাধ ছিল তারা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছেন।”
যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খুনি রাশেদ আমেরিকায় আশ্রয় নিয়েছে। যতগুলো প্রেসিডেন্ট এসেছে, সবার কাছে আমরা লিখিত আবেদন করেছি। তাদের বলেছি— এরা শিশু হত্যাকারী, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, কিন্তু তারা তো ফেরত দিচ্ছে না।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, “গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এদেশে এমন একটি সরকার আনতে চাচ্ছে, যাদের আনলে গণতন্ত্রের অস্তিত্বই থাকবে না। এদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কিছু বুদ্ধিজীবী।”