এপ্রিল ৭, ২০২২, ০৭:১৯ পিএম
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর পক্ষে লড়াই করার অনেক বাংলাদেশি নাগরিক রুশ দূতাবাসে চিঠি লিখেছেন। তবে এসব বাংলাদেশিদের আন্তরিক ইচ্ছেকে অভিনন্দন জানিয়ে রাশিয়া বলেছে, যুদ্ধ পরিকল্পনা-মাফিক চলায় তারা বাংলাদেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবী গ্রহণ করবে না।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় অবস্থিত রুশ দূতাবাসের ফেসবুক পেইজের এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। পোস্টে বলা হয়, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ঢাকাস্থ দূতাবাস অনেক বাংলাদেশি নাগরিকের চিঠি পেয়েছে, যারা বিনাবেতনে রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেন ও ডনবাস অঞ্চল মুক্ত করতে লড়তে চান।
পোস্টে আরও বলা হয় "বাংলাদেশের অনেক মানুষ উপলদ্ধি করেছেন, রাশিয়ার সরকার পূর্ব ইউরোপ ও ইউক্রেনে নব্য নাৎসিবাদকে রুখতে সচেষ্ট। আমরা বাংলাদেশি জনগণের এই মহৎ তাগিদকে সাধুবাদ জানাই। তবে আমাদের বিশেষ অভিযান সফল হচ্ছে, রুশ সামরিক বাহিনী তাদের কাঙ্ক্ষিত লখ্যগুলি অর্জন করছে। তাই বাংলাদেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবীদের এ যুদ্ধে যোগদানের কোনো প্রয়োজন নেই"।
প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।