ইঞ্জিনরুম থেকেই আগুন ছড়িয়েছিল অভিযান-১০-এ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৬, ২০২১, ১২:৫১ এএম

ইঞ্জিনরুম থেকেই আগুন ছড়িয়েছিল অভিযান-১০-এ

ইঞ্জিনরুম থেকেই এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলেই ধারনা করা হচ্ছে প্রাথমিক তদন্তে। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান-১০-এ পরিদর্শন শেষে কমিটি বিষয় জানায়।

তদন্ত দলটি প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিনটি খতিয়ে দেখেন। তারপর তদন্ত কমিটির সদস্য ফরেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার তাইফুর আহমেদ ভুঁইয়া এই কথা জানান।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানান, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের দুটি ইঞ্জিনের একটির ছয়টি ইন্ডিকেটর কভারের মধ্যে ৩ নম্বর নাট (নজেল) ঢিলা পাওয়া গেছে। এছাড়া একই ইঞ্জিনের ৬ নম্বর সিলিন্ডার হেডের কভার ভাঙা পাওয়া গেছে।

এসব আলামতের ভিত্তিতে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।

ফরেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার তাইফুর আহমেদ ভুইয়া প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তিনি ইঞ্জিনের ৩ নম্বর ইন্ডিকেটরটির কভারের নাট ঢিলা পান। এ ছাড়া ইঞ্জিনের ৬ নম্বর সিলিন্ডার হেড ভাঙা দেখতে পান। 

বিষয়টি আরও নিশ্চিত হতে ডাকা হয় ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের পাশে রাখা সুন্দরবন-১২ লঞ্চের দুই মাস্টারকে। তাদের মধ্যে মোস্তফা মীর প্রথম ক্লাস ও মো. জালাল সেকেন্ড ক্লাস মাস্টার। প্রায় ১০ মিনিট তাঁদের এ বিষয়ে মন্তব্য করতে বলা হয়। মন্তব্য শেষে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তারা অভিজ্ঞতা থেকে প্রশ্নের উত্তর দেন। এরপর এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে ডাকা হয় বিআইডব্লিউটিএর জাহাজ দুর্বার-এর মাস্টার আনিসুর রহমানকে। তিনিও ইন্ডিকেটর কভারের নাট ঢিলা থাকলে আগুন লাগতে পারে বলে নিশ্চিত করেন। এ ছাড়া আগুনের তীব্রতার কারণে ৬ নম্বর সিলিন্ডার হেড ফেটে যায় বলে জানান। এ সময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হয়। 

তদন্ত কমিটির প্রধান তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা প্রাথমিক একটি ধারণা পেয়েছি। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থলসহ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেছি। হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

Link copied!