কুসিক নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, এখন চলছে গণনা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ১৫, ২০২২, ১১:৫৯ পিএম

কুসিক নির্বাচন:  ভোটগ্রহণ শেষ, এখন চলছে গণনা

সহিংসতা ছাড়াই শেষ হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। এখন চলছে ভোট গণনা।

বুধবার কুসিকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে  (ইভিএম) ভোট দিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েন ভোটাররা‌। মেশিনে ভোটারদের ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলা, এক বুথের ভোটাররা অন্য বুথে যাওয়া; লাইন জমিয়ে ভোটে বিলম্ব সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ ছিল ভোটাদের।

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসাররা বলেছেন, অনেকেই ইভিএম বুঝতে পারছে না। এদিকে বেশি সময় নেওয়ার কারণে মেশিন হ্যাং করছে। আবার আমাদের বুথের ভেতরে যাওয়ার এখতিয়ার নেই। ফলে অনেকে না বুঝেই এবং ভোট না দিয়েই চলে আসছেন। ফলে তাদেরকে আবার পাঠাতে হচ্ছে। এর ফলে ভোটগ্রহণ কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। “

আবার ইভিএম প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহনের বিষয়টি নিয়ে আরও প্রচার ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন অনেক প্রিজাইডিং অফিসার।

তাদের যুক্তি, ইভিএমে ভোটের বিষয়ে যেভাবে প্রচার হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। সে কারণে ভোটাররা ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। এজন্য ভোট দিতে সময় লাগছে।

নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ভোটের মধ্যে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ভোটকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে এ কমিশন।

কুমিল্লা সিটিতে মেয়র পদে ছয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু (বিএনপি নেতা ও দুইবারের মেয়র), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান। প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। অর্থাৎ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন পাঁচ প্রার্থী।

এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলে ১৪০ জনের মতো প্রার্থী আছে ভোটের মাঠে। এ নির্বাচনে ৫ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৩ হাজার ৬০০ জন সদস্য, ১০৫টি মোবাইল টিম, র‍্যাবের ৪০টি টিমসহ বিভিন্ন সংস্থা।

Link copied!