ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই: আপিল বিভাগ

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর দায়ের করা ‘লিভ টু আপিল’ খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। 

সোমবার (৮ মে) সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো.নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ওই আপিল খারিজ করে দেন। এর ফলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবীরা।

এর আগে, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলা বাতিলের আবেদন হাইকোর্টে খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে সোমবার (৮ মে) রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। অন্যদিকে, কল কারখানা অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।  ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলায়  অন্য বিবাদীরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়। 

• বিষয় :
• ড. মুহাম্মদ ইউনূস
• গ্রামীণ টেলিকম
• শ্রম আইন লঙ্ঘন