কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলাকাবাসী। মাঠটিতে কলাবাগান থানা ভবনের নির্মাণকাজ চলার মাঝেই এমন সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তারা। সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তেঁতুলতলা মাঠে নাগরিক প্রতিবাদ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন এলাকার স্থপতি ইকবাল হাবীব।
তিনি বলেন, আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, খুব শিগগিরই এখান থেকে থানার ভবনের নির্মাণকাজ স্থানান্তর করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই আশ্বাসের পরও যদি কেউ ঈদুল ফিতরের বন্ধে মাঠে কোনো সীমানা দেয়াল নির্মাণ করতে চায় তবে এলাকার সবাই প্রতিবাদ গড়ে তুলবে। তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ করায় এবং নির্মাণকাজের ভিডিও ধারণ করায় রোববার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলেকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের আটকের খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মাঠ রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত মা-ছেলেকে আটকের খবর পেয়ে বেলা দুইটার দিকে ওই মাঠে যান মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, উদীচীর ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আরিফ নূরসহ কয়েকজন।
পরে বিক্ষোভের মুখে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুচলেকা নিয়ে সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবারও একাধিক কর্মসূচি পালন করছে নাগরিক সমাজ।
সোমবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ প্রাঙ্গণে ঈদ উপলক্ষে দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ আপাতত খেলার মাঠই থাকছে। সেখানে হচ্ছে না থানা ভবন।
তিনি বলেন, তেঁতুলতলা মাঠটি জেলা প্রশাসকের চিহ্নিত করা একটি খাস জমি হওয়ার কারণেই সেখানে থানা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে খেলাধুলার জন্য মাঠেরও প্রয়োজন আছে। সে কারণে থানা ভবন নির্মাণের জন্য বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়রকে বলা হয়েছে। যদি না পাওয়া যায় তাহলে আলোচনার মাধ্যমে থানা ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।