দেশে মাত্র ৬ শতাংশ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালের লাইসেন্স আছে। এ ধরনের ৩৫ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চলছে নিবন্ধন ছাড়াই, এমনকি তারা নিবন্ধনের আবেদনই করেনি। বাকি ৫৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নবায়ন করেনি অথবা নিবন্ধনের জন্য নতুন করে আবেদন করেছে।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক নিয়ে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৯-২০ সালে করা ওই গবেষণার ফলাফল গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়।
রাজধানীর মহাখালীতে আইসিডিডিআরবিতে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানের শুরুতে বলা হয়, গত শতকের আশির দশকে দেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ হাসপাতাল বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতের আওতাভুক্ত।
গবেষণায় ১২টি সিটি করপোরেশনসহ ও ১০টি জেলার মোট ১ হাজার ১১৭টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষকেরা এসব প্রতিষ্ঠানের দলিল পর্যালোচনার পাশাপাশি একটি প্রশ্নপত্র পূরণ করেন। এ ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত ৩১ জনের বিশেষ সাক্ষাৎকার নেন।
অনুষ্ঠানে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবির মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক শামস্ এল আরেফিন। তিনি বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো (বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরিজ) চলে ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশের মাধ্যমে। ওই অধ্যাদেশে বলা আছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকতে হবে।