বাংলাদেশের 'গুম' সংস্কৃতি বন্ধ করুন: জাতিসংঘ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৫, ২০২১, ০২:১৪ পিএম

বাংলাদেশের 'গুম' সংস্কৃতি বন্ধ করুন: জাতিসংঘ

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবিলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে 'গুম সংস্কৃতি’ চালু রয়েছে অভিযোগ করে এই সংস্কতি থেকে বেরিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

চলতি বছর বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে জমা দেওয়া এই পরিষদের গুমসংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ ডব্লিউজিইআইডির (ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেন্সেস) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।  

ওয়ার্কিং গ্রুপের ১২৫তম অধিবেশন শেষে তৈরি করা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের গুম পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। গত ২০ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়ার্কিং গ্রুপের ওই বৈঠক হয়। চলতি বছরের গত ৬ ডিসেম্বর এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন হালনাগাদ করেছে ওয়ার্কিং গ্রুপ।

গুম-খুনের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে তৈরি ওই হালনাগাদ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নিশানা করতে গুমকে অব্যাহতভাবে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমনে বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার রীতিমতো ‘ফ্যাশনে’ পরিণত হয়েছে। এখানে ‘গুম’-কে সরকার অনেকটা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

গুমের এসব অভিযোগের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসতে দফায় দফায় চেষ্টা করেছে, কিন্তু ঢাকার তরফে সহযোগিতা দূরে থাক, সাড়া-ই মিলেনি।

হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সাধারণ অভিযোগ অবশ্যই ২০১১ সালের ৪ মে, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ, ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ও ২০১৯ সালের ২২ মে বাংলাদেশ সরকারের কাছে পাঠানো অভিযোগগুলোর অতিরিক্ত হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে। এখনো পর্যন্ত এসব অভিযোগের কোনো জবাব দেওয়া হয়নি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

Link copied!