মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত সন্দেহে রাজধানী ঢাকার সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি তুর্কি নাগরিকের নমুনা নেগেটিভ এসেছে। এ ছাড়া অন্যান্য পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণেও মাঙ্কিপক্সের কোন লক্ষণ পাননি চিকিৎসকেরা। ফলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে তুরস্কের ওই নাগরিককে গত ৭ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। এই সময়ে আমাদের চিকিৎসকের পাশাপাশি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডার্মাটোলজি বিভাগের দুজন চিকিৎসক ওনাকে পর্যবেক্ষণ করেন। এতে ওই ব্যক্তির শরীরের মাঙ্কিপক্সের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি। যেসব উপসর্গ পাওয়া গেছে সেগুলো পুরোনো চর্মরোগের। এ ছাড়া আইইডিসিআরের (রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান) পরীক্ষায়ও ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। তাই, গতকাল বৃহস্পতিবারই ওই ব্যক্তিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৭ জুন ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর ১২টায় তার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি বিমানে বাংলাদেশে নামেন আকশি আলতে নামের ত্রিশ বছর বয়সী এ তুর্কি নাগরিক। পরে ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় মাঙ্কিপক্স ভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ হলে তাঁকে বিমানবন্দর হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর।
চুয়াডাঙ্গায় এক বৃদ্ধাকে মাঙ্কিপক্স সন্দেহে হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। ষাটোর্ধ্ব ওই নারীর হাতের তালুতে এক ধরনের বিশেষ পক্স দেখা গেলে বৃহস্পতিবার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকেরা সাধারণ পক্স হিসেবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। ওই নারীর বিদেশ ভ্রমণের কোন ইতিহাস নেই। আজ শুক্রবার ওই নারীর নমুনা সংগ্রহের কথা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন সাজ্জাদ হাসান জানান, ওই বৃদ্ধার মাঙ্কিপক্সে উপসর্গ আছে কিনা এখনো বলা যাচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লোকজন নমুনা সংগ্রহ করবে। পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলেই বোঝা যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গত বুধবার জানিয়েছে, আফ্রিকার বাইরে এখন পর্যন্ত ২৯ দেশের হাজারের বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ভাইরাসটি প্রতিরোধে এখনই গণহারে টিকা প্রদানের বিষয়ে সুপারিশ করতে রাজি নয় সংস্থাটি।