অক্টোবর ২, ২০২১, ০৮:০৬ পিএম
সংঘাতমু্ক্ত সমাজ, সংঘাতমুক্ত পৃথিবী আর যুদ্ধমুক্ত বিশ্ব গঠনে মহাত্মা গান্ধীর দর্শন মানুষকে বহুল ভাবে অনুপ্রাণিত করে বলে অনুপ্রাণিত করে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
শনিবার (২ অক্টোবর) নোয়াখালীতে মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নবরুপায়িত গান্ধী মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সভাপতি বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমিন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি, অরোমা দত্ত এমপি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আজ সারা বিশ্বে সম্প্রদায় সম্প্রদায় জাতিতে জাতিতে যে বিদে¦ষ, হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে তা থেকে মানবজাতীকে রক্ষা করতে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস বাণী প্রেরণা যোগায়। হিংসা দিয়ে পৃথিবীতে কখনোই কোন সমস্যার সমাধান হয়নি।
১৯৪৬ সালে নোয়াখালীর সুধামপুর গ্রামে পৌঁছার পর মহাত্মা গান্ধীর বাঙালি হওয়ার ঘোষণা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তার এ কথাটা দাঙ্গাপিড়িত মানুষের মন জিতে নিয়েছিল। গান্ধী সম্পর্কে অবাধ শ্রদ্ধা আজো দেখা যায় এ অঙ্গনে। আসলে এর পিছনে ছিল সাহস।বাঙ্গালী না হয়েও গান্ধীজি যা দেখাতে পেরেছিলেন।’
২০১৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য স্মরণ করে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী রাজধানী ঢাকায় চলমান বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী দেখার জন্য দর্শকদের আমন্ত্রণ জানান। প্রদর্শনীটি ১১ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত ঢাকায় উন্মুক্ত থাকবে এবং পরে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা এবং রাজশাহীতে প্রদর্শিত হবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, প্রদর্শনীটি আমাদের দুই দেশের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও উত্তরাধিকারের মতন একটি অনন্য বিষয়কে উপস্থাপন করছে।