রাজধানীর সমাবেশে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীর ঢল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ৩০, ২০২১, ০৭:৫৬ পিএম

রাজধানীর সমাবেশে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীর ঢল

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবিতে মঙ্গলবার সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরই ধারবাহিকতায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যারয়ের সামনে দুপুর একটায় শুরু হয়েছে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ।সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী।  

 

ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা বিএনপি'র আহবায়ক এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের  সভাপতিত্বে এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এরই মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতারা সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার(৩০ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হকের কোরান তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই মহানগরীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হয়। সমাবেশের জন্য নয়াপল্টনে ভিআইপি সড়কে যান চলাচল বিলম্বিত হচ্ছে।

সমাবেশ ঘিরে পল্টন ও আশপাশে বাড়তি পুলিশ মোতায়েত রয়েছে। সমাবেশ থেকে যেন কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য এই প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানান মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার আ. আহাদ।

তিনি বলেন, “সড়কের ওপর সমাবেশ হওয়ায় সকাল থেকেই বিএনপি কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ। বিপরীত পাশের সড়কে অল্প কিছু যান চলাচল করছে। আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন আছে। সাদা পোশাকেও গোয়েন্দারা আছেন।”

ঢাকার পাশাপাশি নেত্রীর মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশ দেয়ার দাবিতে দেশের অন্য বিভাগগুলোতেও নেতাকর্মীরা সমাবেশ করছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ১২ অক্টোবর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর গত ৭ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই শনিবার (১৩ নভেম্বর) তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করার পর এখন সিসিইউতে রাখা হয়েছে।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁত, চোখের প্রদাহ, হৃদরোগসহ বয়সজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

গত ২৫ অক্টোবর ২৫ অক্টোবর শরীরের টিউমার ধরা পড়ায় খালেদা জিয়ার বায়োপসি করা হয়।ওইসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার বায়োপসি রিপোর্টে ক্যান্সারের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হলে খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনার কারণে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এখন পর্যন্ত চারবার খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় বাড়ানো হয়েছে।

Link copied!