বিশেষ বিবেচনায়, প্রবাসে আটকাপড়া কর্মীদের জন্য আটটি দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের অনুমিত দিয়েছে সরকার। তবে প্রবাসী কর্মী ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের যাত্রী বিশেষ ফ্লাইটে আসছেন। সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বিভিন্ন দেশ থেকে যাত্রীরা প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার ও কুয়েত থেকে আসছেন। পরে এই দেশগুলো থেকে দেশে ফিরবেন তারা।
হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২৮ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ২২টি বিশেষ ফ্লাইটে মোট এক হাজার ৮৮৭ জন যাত্রী ফিরেছেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ১২৬ জন যাত্রীকে নিজ খরচে তিন দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং করোনা টিকার সনদ নিয়ে ফেরা ৭১৬ জনকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে কর্মরত একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রবাসী কর্মীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে যাত্রীরা ফিরে আসছেন। ‘২৮ এপ্রিল লকডাউন শেষ হচ্ছে এবং তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না’ মনে করে দেশে ফিরেছেন অনেকেই। করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে এলেও দেশে ফিরলেই বাধ্যতামূলক তিনদিনের কোয়ারেন্টাইনে নিজ খরচে থাকতে হবে, এ শর্ত মেনে নিয়েই ফিরছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, দেশে ফেরা যাত্রীরা জানিয়েছেন, করোনা মহামারির এই সময়ে বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানসহ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতেই ফিরে এসেছেন তারা। তবে প্রবাসী কর্মীদের কেউ কেউ নিজ খরচে হোটেলে থাকার ব্যাপারে আপত্তি করে বলছেন, যেহেতু তারা আসার ৭২ ঘণ্টা আগে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে এসেছেন, তাই তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে দিলেই ভালো হতো।
ওই কর্মকর্তা বলেন, সরাসরি ফ্লাইট চালু না থাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আসা যাত্রীরা বিশেষ বিবেচনায় যেসব দেশের ফ্লাইট চালু রয়েছে, সেসব দেশে এসে দু-একদিন থেকে তবেই ফিরছেন। তাদের প্রায় সবাই করোনার দুই ডোজ করে টিকা নিয়ে আসায় তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রবাসী কর্মীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার সম্প্রতি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কাতার , ওমান, কুয়েত, বাহরাইন ও চীনসহ আটটি দেশে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়। দেশে আটকেপড়া শ্রমিকরা যেমন আসছেন, তেমনি ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিন দেশে ফিরে আসছেন অনেক প্রবাসী কর্মী।