এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি সংবাদ ও তথ্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি আশঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশিরা। দেশটির প্রায় ৭৮ শতাংশ মানুষ মনে করে এটি তাদের দেশের জন্য একটি বড় সমস্যা।
সম্প্রতি পিউ রিসার্চের ‘ফ্রি এক্সপ্রেসন সিন এজ ইমপোরট্যান্ট গ্লোবালি বাট নট এভরিওয়ান থিঙ্কস দেয়ার কান্ট্রি হ্যাজ প্রেস, স্পিস অ্যান্ড ইন্টারনেট ফ্রিডমস’ শীর্ষক এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত চলে এ সমীক্ষা। বিশ্বের ৩৫টি দেশের ওপর এ সমীক্ষা চালানো হয়। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন।
এতে দেখা যায়, উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি সংবাদ ও তথ্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি শঙ্কিত বাংলাদেশিরা। দেশটির প্রায় ৭৮ শতাংশ মানুষ এটিকে তাদের দেশের জন্য বড় সমস্যা বলে মনে করে। এর পরই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার নাম। এই দেশটির ৭৩ শতাংশ মানুষ মনে করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি সংবাদ ও তথ্য তাদের দেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। এর পরই রয়েছে চিলির নাম।
পিউ রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি সংবাদ ও তথ্যকে দেশের জন্য ক্ষতিকর মনে করে না সিঙ্গাপুরের বেশিরভাগ মানুষ। দেশটির মাত্র ১৯ শতাংশ মানুষ মনে করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি সংবাদ ও তথ্য তাদের দেশের জন্য বড় সমস্যা।
সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৬৯ শতাংশ মানুষ মনে করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর ভারতের ৬৮ শতাংশ মানুষও এমনটি মনে করে।
পিউ রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, কানাডার সবচেয়ে বেশি মানুষ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। এই দেশটির ৯৩ শতাংশ মানুষের মতে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গুরুত্বপূর্ণ। আর আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার ৬৪ শতাংশ মানুষ মনে করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমীক্ষা অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি এই দেশের মানুষ গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না।
সমীক্ষার তথ্য বলছে, বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ মানুষ বাক স্বাধীনতাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। আর ভারতের ৭২ শতাংশ মানুষ এটিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। বাক স্বাধীনতাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা সবচেয়ে বেশি মানুষ রয়েছে কানাডায়। দেশটির ৯২ শতাংশ মানুষ বাক স্বাধীনতাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখে। বাক স্বাধীনতাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা সবচেয়ে কম মানুষ রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। দেশটির ৬৭ শতাংশ মানুষ এটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখে।
পিউ রিসার্চের সমীক্ষা অনুযায়ী, ৮৩ শতাংশ বাংলাদেশি মনে করে তারা সেন্সরশিপ ছাড়াই ইন্টারনেট চালাতে পারে। যেখানে ভারতের ৮৫ শতাংশ মানুষই এমন মত দিয়েছে। এদিক দিয়েও শীর্ষে কানাডা। দেশটির ৯২ শতাংশ মানুষ মনে করা তারা সেন্সরশিপ ছাড়াই ইন্টারনেট চালাতে পারে।