বিশ্ববাসীর শান্তি কামনায় বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপিত, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ২২, ২০২৪, ১০:৪৪ এএম

বিশ্ববাসীর শান্তি কামনায় বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপিত, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে মানবীয় সংস্কৃতি বিকাশ ও লালনের লক্ষ্য নিয়ে ঢাকার শাহবাগে শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসব আয়োজন করেছে ‘২০২৪ বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ।’

২৫৬৭তম বুদ্ধবর্ষ হিসাবে এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বৌদ্ধ সংস্কৃতি জাগরণ - ঐক্য সম্প্রীতির মূলবন্ধন।

শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে, পরে শাহবাগ মোড়ে প্রদক্ষিণ করে পরবর্তী রাজু ভাস্কর্যে পৌঁছায়। তারপর সেখানে একটি শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা। বৌদ্ধধর্ম মতে, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার শুভ জন্ম, বোধিজ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ- এই তিন স্মৃতিবিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা, বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে বুদ্ধপূর্ণিমা নামে পরিচিত।

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, “একটি সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আজীবন সাম্য ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করে গেছেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘অহিংস পরম ধর্ম’ বুদ্ধের এই অমিয় বাণী আজও সমভাবে প্রযোজ্য।”

এছাড়া বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বিকেলে বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এই আয়োজনে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের আট শতাধিক আমন্ত্রিত ব্যক্তি অংশ নেবেন।

শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “মানুষের কল্যাণে এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় মহামতি গৌতম বুদ্ধ অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও করুণার বাণী প্রচার করেছেন। হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন, মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে আজকের পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা অনুসরণ করা প্রয়োজন।”

Link copied!