বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-ছেলের মৃত্যু, ১০ লাখ টাকায় আপোসরফা

জাতীয় ডেস্ক

আগস্ট ২৯, ২০২৪, ০৩:০৩ এএম

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-ছেলের মৃত্যু, ১০ লাখ টাকায় আপোসরফা

প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের রাজৈরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার কদমবাড়ী ইউনিয়নের হিজলবাড়ী গ্রামে এ ঘটনার পর মঙ্গলবার বিকেলে গ্রাম্য সালিসে সাড়ে ১০ লাখ টাকায় আপোসরফা হয়। গতকাল বুধবার আপোস রফার এই ঘটনা প্রকাশ পেলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয়।

নিহত বাবা ও ছেলে হলেন- পুন্য পাণ্ডে (৫০) ও তার ছেলে রিচার্ড পাণ্ডে (১৪)।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এলাকাবাসী জানায়, হিজলবাড়ী গ্রামের মৃত মোহন পাণ্ডের পল্লী বিদ্যুতের লাইন ও মিটার সংযোগকৃত পরিত্যাক্ত ঘর থেকে ১০০ গজ দূরে দিলীপ হালদার সাইডলাইন নেয় তার মাছের ঘের ও মুরগির খামারে। এখান থেকে আবার প্রায় ৫০ গজ দূরে এক তারের মাধ্যমে পংকজ বারুরী তার ঘের ও মুরগির খামারের জন্য সাইডলাইন নেয়। এই দুই খামারের মাঝখানে মৃত পুন্য পাণ্ডের ঘের রয়েছে। আর সেই ঘেরের ওপর দিয়ে ওই দুই খামারে অবৈধভাবে সাইড লাইন নেওয়া হয়। সোমবার বিকেলে পুন্য পাণ্ডে নিজ ঘের থেকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে যায়। বড়শিতে মাছ ধরা পড়লে মাছ তুলতে জোরে টান দিলে বড়শি ওপরের বৈদ্যুতিক তারে গিয়ে বেঁধে যায়। এ সময় বৈদ্যুতিক তার থেকে বড়শি খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পুন্যের। এদিকে বাড়ি ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় ছোট ছেলে রিচার্ড বাবাকে খুঁজতে খামারে আসেন। এ সময় বাবা পুন্য পাণ্ডেকে পানির ওপর হয়ে পড়ে থাকতে দেখে এবং বাবাকে তুলতে গেলে সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর বড় ছেলে তাদের দুজনকে খুঁজতে আসে এবং  তাদেরকে তুলতে গেলে সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে প্রাণে রক্ষা পায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় রিচার্ডকে উদ্ধার করে নিকটতম কদমবাড়ী বাজারে চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে মঙ্গলবার বিকেলে অনিল বৈদ্যের সভাপতিত্বে এক সালিস বৈঠকে ওই দুই খামারের মালিক পংকজ বারুরীকে ৮ লাখ ও দিলীপ হালদারকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করে আপোসরফা হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত পংকজ বারুরী জানান, ওই পরিবারকে সহযোগিতার জন্য সালিসদের রায় মেনে ধার্য করা টাকার মধ্যে ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি।

মাদারীপুর পল্লীবিদ্যুতের টেকেরহাট জোনাল অফিসের ডিজিএম মাহামুদুল হাসানকে বিষয়টি জানালে এ ব্যাপারে কিছুই জানা নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, “ঘটনা জেনেছি। পরিবারের দাবির মুখে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।”

Link copied!