মে ৩, ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং। (প্রতীকী ছবি)
দেশের রাইড শেয়ারিং খাতের চালকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। তাদের শ্রম অধিকার, ন্যায্য পারিশ্রমিক ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে এ সুপারিশ করা হয়। একই সঙ্গে একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
কমিশন বলেছে, এ খাতের চালকদের জন্য একটি আলাদা মজুরি কাঠামো নির্ধারণ এবং রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোর কমিশন হার যৌক্তিকভাবে কমানো জরুরি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গিগ বা প্ল্যাটফর্ম অর্থনীতির আওতায় কাজ করা এই চালকদের শ্রম নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে কোম্পানিগুলোর দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
চালকদের নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানো, যাত্রী ও চালকদের জন্য সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ, তথ্যভাণ্ডার সংরক্ষণ এবং ২৪ ঘণ্টা চালু কল সেন্টার স্থাপনের সুপারিশও করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জানায়, বর্তমানে দেশে দেশি-বিদেশি ১৫টি রাইড শেয়ারিং কোম্পানি সক্রিয় রয়েছে। তবে কার্যত তিনটি কোম্পানি বাজারের মূল অংশ দখল করে রেখেছে। যদিও মোট কতজন চালক এই খাতে যুক্ত তা স্পষ্ট নয়, তবে সংশ্লিষ্টদের মতে এই সংখ্যা লাখের কাছাকাছি।
রাইড শেয়ারিং সেবা নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। চালকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা অনেক সময় অ্যাপ এড়িয়ে যাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি দর-কষাকষি করে বেশি ভাড়া দাবি করেন। তাদের দাবি, কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত কমিশন কাটে, ফলে চালকদের আয় কমে যায়।
অন্যদিকে যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, কখনো কখনো খ্যাপে অ্যাপের তুলনায় বেশি ভাড়া দিতে হয়। এছাড়া রাস্তায় যত্রতত্র বাইক পার্কিং, গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি ও ফুটপাতে বাইক তোলা নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে ২০১৭ সালে সরকার ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা’ প্রণয়ন করলেও তার কার্যকর প্রয়োগ এখনো সীমিত।