অমিত সাহারও মৃত্যুদণ্ড চাইলেন আবরারের মা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ৮, ২০২১, ০৯:১৪ পিএম

অমিত সাহারও মৃত্যুদণ্ড চাইলেন আবরারের মা

প্রায় ২ বছর ৩ মাস পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় রায় হয়েছে। রায়ে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতের এই রায়ে আবরারের পরিবার সন্তুষ্ট। দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

তবে মামলার অন্যতম আসামি অমিত সাহার ফাঁসির রায় না হওয়ায় আবরারের মা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারও মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন তিনি।

পড়ুন: আবরার হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড

আবরার হত্যার প্রতিবাদকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবরারের মা বলেন, “আদালতের প্রতি সম্মান রেখে বলছি, আমরা আশা করেছিলাম সবার মৃত্যুদণ্ড হবে। বিশেষ করে হত্যায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল অমিত সাহা। তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ সবাই আশা করেছিল।”

তিনি আরো বলেন, “অমিত সাহার মৃত্যুদণ্ডও যেন বাস্তবায়ন করা হয়। এর জন্য আবারও আদালতের দ্বারস্থ হব। এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি। দ্রুততর সময়ে রায় কার্যকর করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক। রায় পুরোপুরি কার্যকর হলে আমরা পুরিপুরি সন্তুষ্ট হব।

আবরারের ছোট ভাই ফাইয়াজ বলেন, “ভাইয়ের হত্যাকারীদের সবার ফাঁসি চেয়েছিলাম। বিচার বিভাগের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। আদালতের রায়ে আমি খুশি। ভাই ছিল আমার সাহস ও ভরসা। ভাইকে হারিয়ে আজ আমরা নিঃস্ব।”

ফাইয়াজ আরও বলেন, পলাতক আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দ্রুত কার্যকর করতে হবে।

আবরার ফাহাদ ১৩ মে ১৯৯৮ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমে কুষ্টিয়া মিশন স্কুল ও পরে জিলা স্কুলে লেখাপড়া শেষ করে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি হন। আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

Link copied!