সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না সম্প্রতি শুরু হওয়া 'প্রজেক্ট হিলসা' নিয়ে। কেউ প্রশ্ন তুলছে খাবারের স্বাদ নিয়ে, কেউবা প্রশ্ন তুলছে খাবারের দাম নিয়ে। এবার প্রজেক্ট হিলসার বিরুদ্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনার প্রমাণ মিলেছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে চালানো অভিযানে উঠে আসে এই চিত্র।
গত মে মাসে পদ্মা পারের মাওয়া ঘাটে যাত্রা শুরু করে প্রজেক্ট হিলসা। ইলিশের আকৃতিতে তৈরি করা হয়েছে বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে হিলসা। রেস্তোরাঁটি নিয়ে অনেক আলোচনা ও সমালোচনার পর সেখানে বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে অভিযান করা হয়। সেই অভিযান থেকে উঠে আসে গুরুতর অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কথা।
অভিযানে রেস্তোরাঁটির বাবুর্চি ও কর্মচারীদের টয়লেটে কোন সাবান মেলেনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান ব্যবহার করেন না তারা। শুধু পানি দিয়ে হাত ধুয়ে চলে আসেন।
অভিযানের বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ বলেন, ‘অভিযানে রেস্তোরাঁটিতে অতিথিদের টয়লেটে সাবানের ব্যবস্থা থাকলেও বাবুর্চি ও স্টাফদের টয়লেটে কোন সাবান পাওয়া যায়নি। টয়লেটের পর বাবুর্চিরা সাবান ব্যবহার করছিলেন না। শুধু পানি দিয়েই হাত পরিষ্কার করছিলেন। কিচেন পরিষ্কার থাকলেও ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংসের সঙ্গে রান্না করা খাবারও মজুত রাখা হয়েছিল, যা ঠিক নয়।’
এ ছাড়া রেস্তোরাঁটিতে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন বিপুল পরিমাণের সস ও নুডলসও পাওয়া গেছে বলে জানান ভোক্তা অধিদফতরের এই কর্মকর্তা। তখন তিনি বলেন, 'এসব পণ্যের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন লাগবে। এক-দেড় হাজার মানুষের জন্য রান্না করার মতো খাবার মজুত ছিল। অর্থাৎ, এসব খাবারের মধ্যে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন সস, নুডলস ছিল।'
রেস্তোরাঁটির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, রেস্তোরাঁটি অল্প কিছু দিন আগে চালু হয়েছে, তাই আইনকানুন সম্পর্কে ভালোভাবে জানে না। তাদেরকে নিয়ম-কানুন জানানো হয়েছে। প্রথমবারের মতো তাদের সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে নিয়ম অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।