রাজধানীর গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালিয়ে ৫৬০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ বা আইস, ১ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা ও দুটি প্রাইভেট কারসহ পাঁচজনকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো-উত্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে রমনা এলাকা থেকে জাকারিয়া আহমেদ অমনকে (৩২) পাঁচ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ গ্রেপ্তার করা হয়। জাকারিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বারিধারা দূতাবাস এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তারেক আহম্মেদকে (৫৫) পাঁচ গ্রাম আইস ও ১০০ পিস ইয়াবা এবং একটি প্রাইভেটকারসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে জাকারিয়া ও তারেকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাদ্দাম হোসেনকে (৩১) ৯০ গ্রাম আইস ও ৪০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। একই এলাকা হতে দুইশ গ্রাম আইস ও ৫০০ পিস ইয়াবা এবং একটি প্রাইভেটকারসহ গ্রেপ্তার করা হয় শহীদুল ইসলাম খানকে (৪৮)। ভাটারার জোয়ার সাহারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. জসিম উদ্দিনকে (৫০) ২৬০ গ্রাম আইস ও ২০০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিদের কাছ থেকে মোট ৫৬০ গ্রাম আইস ও ১২০০ পিস ইয়াবা এবং দুটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য কোটি টাকার বেশি। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত ঢাকায় জব্দ হওয়া আইসের সবচেয়ে বড় চালান।
ফজলুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, প্রত্যেকের একে অপরের সাথে কোনো না কোনোভাবে মাদক সংশ্লিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ইয়াবার মতোই সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসছে আইস। রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বাংলাদেশি চোরাকারবারীদের মাধ্যমে হাত বদলে আসছে দেশে।
ফজলুর রহমান বলেন, আইসকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীরা। তারা কৌশল বদলেছে। গভীর সমুদ্রেও আইসের চালান হাত বদলে যাচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, র্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও চেষ্টা করছে। আমরা নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছি।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাতে ফজলুর রহমান বলেন, প্রত্যেকেই সচ্ছল পরিবারের সন্তান। প্রাথমিকভাবে আমরা জেনেছি বন্ধু-বান্ধবদের মাধ্যমে তারা আইসে জড়িয়েছেন।