আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নয়, ই-ভোটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছে জাকের পার্টি। এছাড়া প্রচারে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টিসহ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে এমন প্রস্তাবনা দেয় জাকের পার্টি।
সংলাপে জাকের পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শামীম হায়দারের নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল ছাড়াও প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জাকের পার্টির সুনির্দিষ্ট কয়েকটি প্রস্তাব
সংলাপে জাকের পার্টির নেতারা বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কিছু সময় আগে গণতন্ত্র ও অনুকূল পরিবেশ বিষয়ে কথা বলা যুক্তিসংগত হবে না। নির্বাচনের ৬ মাস আগে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানিমূলক আচরণ যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এ দলটির মতে, সবাই স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি নয়। কাজেই যারা ইভিএম টেকনোলজি তৈরির কাজ করছেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির কেউ যদি এর ভেতরে প্রবেশ করে টেকনোলজির সূক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটিয়ে দেয়, তাহলে নৌকায় ভোট দিলে তা ধানের শীর্ষে বা অন্য প্রতীকে গিয়ে গণনা হবে। তাই ইভিএম পুরো নিশ্ছিদ্র বা নিরাপদ নয়।
নির্বাচনকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতে হলে ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। ই-ভোটিং প্রক্রিয়ায় ঘরে বসে ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এখনই গ্রহণ করা উচিত বলে জানান তারা।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সরকারি প্রচার মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর নিজ নিজ দলের কর্ম পরিকল্পনা ও বক্তব্য তুলে ধরার সমান সুযোগ দিতে মত দেয় দলটির প্রতিনিধিরা।
জাকের পার্টির নেতারা নিবন্ধিত দলগুলোর স্বঘোষিত ভোটারদের ডাটাবেজ তৈরি এবং তা প্রকাশের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আহ্বান জানান।
তাদের মতে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ৬ মাস আগে এই ডাটাবেজ অ্যাপসের মাধ্যমে জনগণের কাছে প্রকাশ করবে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর ভোট ব্যাংক সম্পর্কে আগে থেকেই সকলে অবহিত হবে।