এপ্রিল ১৯, ২০২৩, ০১:২৪ পিএম
বঙ্গবন্ধু সেতুতে ঈদযাত্রার প্রথম দিনই শত শত মোটরবাইকের সারি। এই সেতু দিয়ে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলসহ সেতুর পশ্চিমপাড়ের মানুষজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। তীব্র খরতাপের মধ্যে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবারসহ রওনা হয়েছেন মোটরসাইকেলে করে। এভাবে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হচ্ছেন তারা। আজ বুধবার ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এলাকায় টোলপ্লাজায় মোটরসাইকেলের এই দীর্ঘ সারি চোখে পড়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ে সূর্য উঠার আগে আজকের ভোরবেলার চিত্র: ছবি: সংগৃহীত
দেখা গেছে, অসংখ্য মোটরসাইকেল বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজার পাশে স্থাপিত আলাদা বুথে সেতু পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এ সময় সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন অপেক্ষারত মোটরসাইকেল আরোহীদের টোলের টাকা হাতে রাখার জন্য মাইকিং করছেন। এদিকে মহাসড়কে বাসের চেয়ে প্রাইভেট কার বেশি দেখা গেছে। মোটরসাইকেলের সংখ্যাও তুলনামূলক অনেক বেশি।
টাঙ্গাইল থেকে কুষ্টিয়ায় যাওয়া যাত্রীরা বলছেন, মোটরসাইকেলে করে ভোররাতে রওনা হয়েছি। সকাল সকাল বাড়ি যেতে চাই।
উত্তরাঞ্চলের কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী জানান, ছুটির প্রথম দিনে মহাসড়ক ফাঁকা ছিল। ঝামেলা ছাড়াই মোটরসাইকেলে সহজে বাড়ি যেতে পারছেন তারা।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল সাংবাদিকদের জানান, আজ ভোর থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতুতে মোটরসাইকেল পারাপারে চাপ বেড়েছে। সকাল থেকেই দীর্ঘ সারি ছিল মোটরবাইকের। এ জন্য মোটরসাইকেল পারাপারে আলাদা বুথও করা হয়েছে।
টোল আদায়ে রেকর্ড
আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সেতুতে গেল ৩২ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ যানবাহন পারাপার হয়েছে বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এই সময়ের মধ্যে ৪১ হাজার ২৫১টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে। যেখান থেকে প্রায় তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
সেতু পারাপারের মধ্যে প্রাইভেট কার ও মোটরবাইক বেশি ছিল বলে জানা যায়। ৩২ ঘণ্টায় সেতুর দুই টোল প্লাজা দিয়ে ৪১ হাজার ২৫১টি যানবাহন পারাপার হয়। এরমধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭০০।