নভেম্বর ৩০, ২০২১, ০৮:২৫ পিএম
রাজধানীর একটি হাসপাতলে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন প্রয়াত ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনের পরিবার।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে আব্দুল মতিনের স্ত্রী গুলবেদুননেছা মতিন ও কন্যা মাতিয়া বানু সুকু এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা বলেছেন, খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। দেশে তার জন্য আর কোনো চিকিৎসার সুযোগ নেই। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা এখন একমাত্র ভরসা। এরই মধ্যে দেশের প্রথিতযশা চিকিৎসক, সিভিল সোসাইটির নেতারা খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার রহস্যজনকভাবে মানবিক আবেদন নাকচ করে অমানবিক আচরণ করে চলছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়,“ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন আজীবন মজলুমের পক্ষে লড়াই করেছেন। ভাষা মতিনের পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ১২ অক্টোবর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর গত ৭ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই শনিবার (১৩ নভেম্বর) তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করার পর এখন সিসিইউতে রাখা হয়েছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দাঁত, চোখের প্রদাহ, হৃদরোগসহ বয়সজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৫ অক্টোবর ২৫ অক্টোবর শরীরের টিউমার ধরা পড়ায় খালেদা জিয়ার বায়োপসি করা হয়।ওইসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার বায়োপসি রিপোর্টে ক্যান্সারের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হলে খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনার কারণে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এখন পর্যন্ত চারবার খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় বাড়ানো হয়েছে।