আগস্ট ৯, ২০২২, ০২:০৮ পিএম
প্রায় চার বছর বন্ধ থাকার পর সরকারি ব্যবস্থাপনায় আবারও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু করেছে বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার ৫৩ বাংলাদেশি কর্মীর প্রথম দলটি মালয়েশিয়ায় রওনা দিয়ে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে কুয়ালালামপুর বিমাপনবন্দরে পৌঁছায়। এসময় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারো্য়ার তাদের স্বাগত জানান এবং হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
এসময় শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ায় মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “দেশের সম্মান বজায় রেখে, মালয়েশিয়ার আইনকানুন মেনে কাজ করবেন। হাইকমিশন আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে।”
মালয়েশিয়ার শ্রমমন্ত্রী মো. নাজমুস সাদাত সেলিম এবং বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগকারী জিমত জয়া কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, কর্মীদের মালয়েশিয়ায় আগমন উপলক্ষে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান এক বিবৃতিতে বলেন, “মালয়েশিয়ার সঙ্গে গত ডিসেম্বরে চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ব্যাচ প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের হাই কমিশনার তাদের স্বাগত জানিয়েছেন এবং তারা ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে কাজ করবেন। আজ থেকে বাংলাদেশি কর্মীরা এদেশে প্রবেশ করবে, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাই কমিশন ৮০ জন নিয়োগকর্তার ৬ হাজার কর্মীর চাহিদাপত্র সত্যায়িত করেছে।”
এর আগে, একে-৭০ ফ্লাইটযোগে সোমবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে ৫৩ জন কর্মী।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) সূত্র জানায়, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল নামক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার জিমাত জায়া এসডিএন কোম্পানিতে কাজে গেলেন এই কর্মীরা। ওই কোম্পানিতে নিয়োগ পেয়েছেন ১১০ জন। এর মধ্যে প্রথম দফায় ৫৩ জনের মালয়েশিয়ায় রওনা হয়েছেন।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর কর্মী প্রেরণে মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স সিমপ্লেক্স ইন্টারন্যাশনালকে (আরএল ১০২২) মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৩২৫ জন কর্মীর নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত ১৯টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে মোট ৩ হাজার ২২ জন কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়।