জুন ১২, ২০২৩, ০৪:৩০ পিএম
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হাতপাখার প্রতীকে মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ চলছে নগরে। এদিকে চরমোনাই থেকে তাঁর অনুসারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে দলে দলে নগরে ঢুকছেন। এতে নগরজুড়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১২ জুন) দুপুরের পর চরমোনাই থেকে ফয়জুল করীমের অনুসারীরা নগরে ঢুকতে থাকে।
এদিকে খবর পেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুতে পুলিশ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে বেলতলা খেয়াঘাট আটকে দিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে এই ঘটনায় নৌকার মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট আফজালুল করিম রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, হাতপাখার কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও তলোয়ার নিয়ে নগরে ঢুকে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করছেন।
এর আগে দুপুরে ফয়জুল করীম দাবি করেন, তার ওপর হঠাৎই হামলা করা হয়েছে এবং তাকে অনেক মারধরও করা হয়েছে।
এর আগে সকালে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে ফয়জুল করীম বলেছিলেন, ভোট গ্রহণের শুরুটা ভালো, আলহামদুলিল্লাহ। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। ভোটারদের মধ্যে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। এখন পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডে ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি বুথে ভোট গ্রহণ চলবে। প্রস্তুত করা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ ইভিএম। এসব ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম।
বরিশাল সিটির ভোটার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৯৯৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৪ জন।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন ঘড়ি প্রতীকের মো. কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের আলী হোসেন।
এ ছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৮ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জনসহ মোট ১৬৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে কেন্দ্রীয়ভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এই নির্বাচন মনিটর করছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজনে সার্বিক প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে গতকাল রোববার রাতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে যায় নির্বাচনী সরঞ্জাম। যে কোনো ধরনের সহিংসতা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।