তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব নয়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৫, ২০২২, ০৩:৪১ পিএম

তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব নয়

পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকটের কারণে জাতীয় পরিষদ ভেঙ্গে যাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে আইনি বাধা এবং প্রক্রিয়াগত চ্যালেঞ্জগুলোকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিন মাসের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।

পাকিস্তানের শীর্র্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ডন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য প্রায় ছয় মাস লাগবে বলে  ইসিপির সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, “খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ২৬তম সংশোধনীর অধীনে আসনসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন জেলা এবং নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ভোটার তালিকা সামঞ্জস্যপূর্ণ করাটাও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।

ইসিপির ওই কর্মকর্তা বলেন, “নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ কাজের ক্ষেত্রে শুধু আপত্তিপত্র আহ্বানের জন্যই আইনে এক মাসের সময় দেওয়া আছে।

এরপর নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ করতে অতিরিক্ত এক মাস সময় দিতে হবে জানিয়ে ওই ইসিপি কর্মকর্তা আরও বলেন, “ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজটিতেও সময় লাগবে। এরপর পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করতে অতিরিক্ত তিন মাস সময় লাগবে।”

প্রসঙ্গত, গত রবিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব অসাংবিধানিক বলে খারিজ করে দেন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এরপর ইমরান খানের পরামর্শ মেনে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্য দেশটিতে নির্বাচন করতে হবে। বর্তমানে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী বাছাই চলছে। তার সরকারের অধিনেই আসছে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Link copied!