মার্চ ৫, ২০২৩, ০৭:৫২ পিএম
বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের সাবেক দুই কর্মকর্তা, চার বাংলাদেশিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির তদারকি ও দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ।
সৌদি আরবের ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাছ থেকে ৫ কোটি ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল ঘুষ নিয়েছেন যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১৫৪ কোটি টাকার সমান।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা দুর্নীতির অভিযোগে দেশটির তদারকি এবং দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষ নাজাহা শনিবার এ গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রকাশ করে।
রবিবার সৌদি আরবের দৈনিক সৌদি গেজেট‘র এক প্রতিবেদনে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। তারা হলেন-ঢাকার সৌদি দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগের সাবেক প্রধান ও উপরাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ ফালাহ মুদাহি আল-শামারি এবং কনস্যুলার বিভাগের উপপ্রধান খালেদ নাসের আয়েদ আল-কাহতানি।
অন্যদিকে গ্রেফতার হওয়া চার বাংলাদেশি হলেন-রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক মুহাম্মাদ নাসির আল দ্বীন নূর, আল আমীন খান শহীদুল্লাহ খান, জায়েদ ইউ সাঈদ মুফি এবং আবুল কালাম মুহাম্মাদ রফিক উল ইসলাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় সৌদি দূতাবাসের ওই সাবেক কর্মকর্তাদের সাথে ভিসা সংক্রান্ত দুনীতিতে এসব বাংলাদেশি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার বিনিময়ে ওই দুই সাবেক কর্মকর্তা ৫ কোটি ৪০ লাখ রিয়াল আদায় করেছেন। এই অর্থের একটি অংশ সৌদি আরবে পাঠানোর কথা স্বীকার করেছে এবং বাকিটা সৌদি আরবের বাইরে বিনিয়োগ করেছেন। ঢাকার সূত্রগুলো জানায়, রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে ঘুষ নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট দেওয়ার অভিযোগে সৌদি দূতাবাসের তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে বরখাস্ত হওয়া তৃতীয় কর্মকর্তার নাম জানা যায়নি।
পরিচয় প্রকাশ না করে সৌদি আরবের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ভিসা বাণিজ্যের ব্যাপারে দেশটির তদারকি এবং দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষকে তথ্য দিয়েছে।
সৌদি আরবের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো আরও জানিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে ঢাকার সৌদি দূতাবাস রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো থেকে প্রতিটি ভিসা দেওয়ার জন্য ২২০-২৫০ মার্কিন ডলার আদায় করত।
বাংলাদেশ থেকে গত বছর ৬ লাখ ১২ হাজারের বেশি শ্রমিক সৌদি আরবে গেছেন। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গেছেন ৮৫ হাজার ৩১৯ জন।