সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২, ০১:১১ পিএম
বাংলাদেশের একমাত্র বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ আফ্রিকান টিকওক সম্প্রতি মারা গেছে। এ বিরল বৃক্ষটি দেশের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৯২ বছর ধরে কয়েকশ ফুট উপরে ডালপালা মেলে ছিল। স্থানীয়দের কাছে এ বৃক্ষ ‘অজ্ঞান গাছ’ হিসেবে পরিচিত ছিল।
বন বিভাগ বলছে, গাছটি মারা যাওয়ায় এ প্রজাতির বৃক্ষও দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেল। কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ১৬৭ প্রজাতির বৃক্ষের মধ্যে ‘আফ্রিকান টিকওক’ প্রজাতির বৃক্ষ হলো একটি। এ জাতীয় দুটি বিশাল বৃক্ষ ছিল লাউয়াছড়া বনে। দেশে এ প্রজাতির বৃক্ষ আর কোনো বনে নেই। ২০০৬ সালে এর একটি বৃক্ষ ঝড়ে উপড়ে পড়ে যাওয়ার পর টিকে ছিল মাত্র একটি। চিরহরিৎ এ বনে টিকে থাকা ওই ‘আফ্রিকান টিকওক’ বৃক্ষের সব পাতা সম্প্রতি ঝরে পড়ে। বৃক্ষের গোড়ায় ধরেছে পচন। এতে ধারণা করা হচ্ছে, প্রাচীন এ বৃক্ষটি মারা গেছে।
লাউয়াছড়া বন বিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বর্তমান বৃষ্টি মৌসুমে প্রায় ১০০ ফিট উচ্চতা ও ১২ ফিট গোলাকারের বিরল প্রজাতির ‘আফ্রিকান টিকওক’ গাছের পাতা সমপ্রতি ঝরে গাছটির গোড়ায় পচন ধরেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গাছটি মারা গেছে।
বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে মোট দুটি আফ্রিকান টিকওক বৃক্ষ ছিল। দুটি বৃক্ষের মধ্যে ২০০৬ সালে ঝড়ে একটি উপড়ে পড়ে। একমাত্র যে গাছটি উদ্যানে ছিল সেটিও পাতা ঝরে পড়া এবং গোড়ায় পচন দেখে বিষয়টি বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনিস্টিউট (বিএফআরআই) কে অবগত করা হয়েছে।