নির্দিষ্ট ফি দিয়ে তথ্য ও নথি নিতে হবে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ৬, ২০২১, ০৩:৪৯ পিএম

নির্দিষ্ট ফি দিয়ে তথ্য ও নথি নিতে হবে

নির্দিষ্ট ফি দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলেই কাঙ্ক্ষিত তথ্য বা দলিল সরবরাহ (গোপন নথি ব্যতীত) করা হবে। এছাড়া রেকর্ড পাচার করলে পাঁচ বছরের জেল এবং এক লাখ টাকা জরিমানা এবং চুরি-নষ্ট-হ্যাক করলে তিন বছরের জেল এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তির বিধান করে নতুন আইনের খসড়া করা হয়েছে।

জাতীয় আর্কাইভস বিল- ২০২১

১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ বাতিল চেয়ে নতুন আইনের খসড়া হিসেবে জাতীয় আর্কাইভস বিল-২০২১ সংসদে উঠেছে। যে আইনের অধীনে, রেকর্ড বিনষ্ট করার বদলে জাতীয় আর্কাইভসে সংরক্ষণ করা হবে। রবিবার (৬ জুন) সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ খসড়া আইনটি নিয়ে সংসদে আলোচনা শুরু করেন। এ সময় স্পীকার ড. শিরীন শারমিন অধিবেশনের সভাপতিত্ব করছিলেন। পরে, বিলটি পরীক্ষার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।

৩০ বছরের আগে ব্যক্তিগত রেকর্ড সংরক্ষণের সুবিধা

আর্কাইভস বিলের খসড়ায় গবেষক ও তথ্য সেবাগ্রহীতাদের স্বার্থে রেকর্ড সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। ঐতিহাসিক-সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে এমন ৩০ বছর বা তার বেশি সময় আগের ব্যক্তিগত রেকর্ডও আর্কাইভসে সংরক্ষণ করা যাবে। সকল রেকর্ডের সফটকপি সংরক্ষণের কথাও খসড়ায় বলা হয়েছে।

এছাড়াও, জাতীয় আর্কাইভস পরিচালনায় একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে এবং পরিচালনার শীর্ষে থাকবেন একজন মহাপরিচালক। ৮৩'র অধ্যাদেশে মহাপরিচালক পদ ছিল না, নতুন পদসৃষ্টি করা হয়েছে।

নথি ধ্বংস করা যাবে না

প্রস্তাবিত আইনে কোনো ধরণের নথি ধ্বংস করার নিয়ম বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, আর্কাইভে থাকা কোনো নথি ধ্বংস করা যাবে না। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সব গোপনীয় নথির সফট কপিগুলোকে কালিয়াকৈর ডেটা সেন্টারে সংরক্ষণ করতে হবে। এই দায়িত্ব পালন করবে তিন বছর স্থায়ী একটি ১৭ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি ও জাতীয় আর্কাইভের মহাপরিচালক (ডিজি)।

Link copied!