জুন ২৫, ২০২২, ০৯:৪২ এএম
বাংলাদেশের সাহস, সক্ষমতা আর অহঙ্কারের প্রতীক বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুর উদ্বোধন করবেন। পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার কয়েক কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের একটি লালিত স্বপ্ন। সেতু উদ্বোধনের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু শুধু দেশের আত্মনির্ভরশীলতা বা আত্মমর্যাদাই বৃদ্ধি করেনি বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান উঠে এসেছে এক অনন্য উচ্চতায়।
প্রায় ২২ বছর আগে ২০০১ সালের ৪ জুলাই বাংলাদেশের এ যাবতকালের সবচেয়ে বৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন ওই সময়ের ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ উদ্বোধন করবেন সেতু। ফলকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারী ও উদ্বোধক হিসেবে ফলকে শেখ হাসিনার নাম থাকবে।পদ্মা সেতুর অবকাঠামো, ভিত্তি প্রস্থর এবং উদ্বোধনী ফলক বিভিন্ন মেয়াদে ও বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালনের স্মৃতি বহন করবে।
শেখ হাসিনা দুই দশক আগে পদ্মা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ওই সময় দেশের বৃহত্তম এ সেতু বিদেশি দাতা সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় নির্মাণ করা হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। তখন শেখ হাসিনা সাহায্য-সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য দাতা সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।
বিভিন্ন বাধা বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে পুরোপুরি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তার এই সাহসিকতাপূর্ণ পদক্ষেপ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার কোটি কোটি মানুষের জন্য আশির্বাদ।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও বিশ্লেষকদের ধারণা, পদ্মা সেতুর বদৌলতে বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গ হবে মিনি সিঙ্গাপুর। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। সড়ক মহাসড়কগুলির আধুনিকায়ন হওয়ার পাশপাশি রাজধানী ঢাকার সাথে এ অঞ্চলের নিবিড় যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। এই সেতুর মাধ্যমে খুব দ্রুত, কম খরচ এবং আয়েসে পদ্মার উভয় পারের জেলাগুলোতে ভ্রমণ করা যাবে।