বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশনের ঝামেলার অবসান হতে যাচ্ছে। আগামী ৭ই আগস্ট থেকে ভোটার আইডি প্রদর্শন করে সরাসরি কেন্দ্রে গিয়েই টিকা গ্রহণ করা যাবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে করোনা সংক্রমণ রোধে করনীয় নির্ধারণে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ কথা জানান।
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ প্রধান, বিজিবি প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট দফতর ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সকল ইউনিয়ন পরিষদে টিকা কেন্দ্র হবে
দেশের সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে টিকা প্রদানের সুবিধার্থে এবার প্রতিটি ইউনিয়নে বুথ করে টিকা প্রদান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড নিয়ে গেলেই টিকা দেওয়া যাবে। যাদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড নেই তাদেরও কিভাবে টিকার আওতায় আনা যায় সেটা আমরা ভেবে দেখছি। ভবিষ্যতে ওয়ার্ড পর্যায়েও টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি
আরও কঠোর হচ্ছে বিধিনিষেধ
বৈঠক শেষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। এ সময় শিল্পকারখানা বন্ধ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৫ আগস্টের আগে শিল্পকারখানা খোলা যায় কি না সে বিষয়ে শিল্পপতিসহ অনেকেই সরকারকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু এই অনুরোধ সম্ভবত রাখতে পারছি না।
আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর পরিবারের সদস্যরা পাচ্ছে টিকা
দেশের আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীল সকল সদস্যদের জরুরী ভিত্তিতে টিকা প্রদান করা হবে। এ বিষয়ে স্ব স্ব বাহিনী টিকা প্রদানের কার্যক্রম তদারকি করবে। এছাড়া প্রত্যেক বাহিনীর পরিবারের সদস্যরাও এই টিকা কার্যক্রমের আওতায় আসবে।