সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১, ০৩:৩০ পিএম
আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত মন্ত্রীসভার একজন সদস্যের সুনাম ক্ষুন্নের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলায় খালাস পেয়েছেন সাংবাদিক প্রবীর সিকদার।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, যাদেরকে এ মামলায় ‘ভিকটিম’ বলা হয়েছে, তারা নিজেরা এ মামলা করেননি বা তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন কেউ এ মামলার বাদী নন। এমনকি তারা এ মামলায় সাক্ষীও ছিলেন না। মামলা করেছেন দূরের একজন, যার এ অভিযোগে মামলা করার এখতিয়ার-ই নেই।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদার বলেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’
এর আগে, গত ২২ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত ১ এপ্রিল দিন রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন। তবে নির্ধারিত তারিখে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় গত ১১ এপ্রিল দিন রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। পররর্তিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে আদালতের বিচার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মামলাটির রায় আর হয়নি। তাই আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় মামলাটির রায় ঘোষণা করার জন্য ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্দিরা রোড থেকে প্রবীর সিকদারকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। ওই রাতেই তাকে ফরিদপুর নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। ফরিদপুর জেলার এপিপি স্বপন পাল মামলাটি করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রবীর সিকদার ফেসবুকে লেখার মাধ্যমে সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন।
এই মামলায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক মো. মনির হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ৪ আগস্ট প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।