মেজর সিনহা হত্যা: পলাতক আসামির আত্মসমর্পণ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ২৫, ২০২১, ০৫:১৯ পিএম

মেজর সিনহা হত্যা: পলাতক আসামির আত্মসমর্পণ

মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি সাবেক কনস্টেবল সাগর দেব বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কক্সবাজার আদালতে আত্মসর্মপণ করেছে। দুপুরে আত্মসমর্পণের পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। আগামী ২৭ জুন তার জামিন শুনানির দিন ধার্য করে আদালত। সাগর এ হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত ১৫ নম্বর আসামি।

গতবছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা রাশেদ খান।

গত বছর ৩১শে জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। তার মৃত্যুর পর জানানো হয়, অস্ত্র নিয়ে পুলিশকে হুমকি দিলে আত্মরক্ষার জন্য তাকে গুলি করে পুলিশ। কিন্তু শুরু থেকে পুলিশের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় সেখানে সিনহার সঙ্গে সফরে যাওয়া শিপ্রা দেবনাথ, সিফাত ও রুফতি। 

ঘটনা প্রবাহে জানা যায়, গত বছর জুলাই মাসের ৭ তারিখে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান, শিপ্রা দেবনাথ, সিফাত ও রুফতি নীলিমা রিসোর্টে অবস্থান করে। সেসময় ইউটিউবে একটি ভিডিও চ্যানেল নিয়ে কাজ করার সময় আঞ্চলিক বাসিন্দাদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। সেখানে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়ে তাদের জিম্মি হওয়া, অত্যাচারের ঘটনা সম্পর্কে তিনি জানতে পারেন যা মেজর সিনহাকে পীড়িত করে।

অভিযোগ পত্রে বলা হয়, কক্সবাজারের টেকনাফ ওসি প্রদীপের অভয়ারণ্য ছিল। কথিত রাজ্য ছিল। মূলত এই স্বেচ্ছাচারিতা, আইন অমান্য করে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি, এবং তার ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য সিনহা ও তার সঙ্গীরা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওসি প্রদীপ সরকারি অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করেছেন এবং ইয়াবা কেন্দ্রিক বাণিজ্যের সাথে যুক্ত ছিলেন বলেও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। এসব বিষয়ে ওসি প্রদীপের কাছে জানার জন্য ক্যামেরা ও ডিভাইসসহ তারা তিনজন (সিনহা, শিপ্রা ও সিফাত) যখন থানায় যায়।

র‌্যাবের অভিযোগ পত্রে বলা হয়, থানায় তাদেরকে অনতিবিলম্বে টেকনাফ বা কক্সবাজার ছেড়ে যেতে বলা হয়। তা না হলে 'তোমাদের আমি শেষ করে দেবো' বলে হুমকি দেয়া হয়।

শিপ্রা ও সিফাতের বক্তব্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ল্যাপটপে স্পর্শকাতর কিছু ছিল। তবে সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে ওসি প্রদীপের হুমকি উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কারণেই ষড়যন্ত্র করে মেজর সিনহাকে হত্যা করা হয়েছে বলে বলছে র‌্যাব। ৩১শে জুলাই রাতে হত্যাকাণ্ডের কিছুক্ষণ পরেই প্রদীপ কুমার দাশ যখন ঘটনাস্থলে যান, তখনো মেজর সিনহা জীবিত ছিলেন।

র‌্যাব বলছে, ওসি প্রদীপ তখন তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে লোক দেখানো ভাবে তাকে একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই রাতেই তার মাকে ফোন করা হয়।

Link copied!