করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধক ফাইজার টিকার আরও ১০ লাখ ডোজ বাংলাদেশে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে উপহার পাওয়া এসব টিকা বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) কাতার এয়ার ওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সন্ধ্যা ৭টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো টিকা গ্রহণের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারসহ অন্যরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে, ফাইজারের এই টিকা সোমবার (৩০ আগস্ট) আসার কথা থাকলেও ওই শিডিউল পরিবর্তন করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম সোমবার (৩০ আগস্ট) গণমাধ্যমে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া উপহারের ১০ লাখ ফাইজারের টিকা আসার শিডিউল কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে (সোমবার (৩০ আগস্ট) কাতার এয়ার ওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সন্ধ্যা ৭টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা আজ না এসে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) একই সময়ে দেশে পৌঁছাবে।
বিশ্বের সব মানুষের সংক্রামক রোগের প্রতিষেধক পাওয়া নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের গড়া প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র এসব টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গত ৩১ মে কোভ্যাক্স থেকে ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা পায় বাংলাদেশ।এর আগে, গত ২৭ মে জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজারের টিকা অনুমোদন দেয়া হয়। প্রথম চালানে পাওয়া টিকার মাধ্যমে গত ২১ জুন রাজধানীর তিনটি হাসপাতালে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
গত ২৩ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন সেপ্টেম্বরেই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৬০ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা পাওয়া যাবে। ওই ৬০ লাখ ডোজ টিকার অংশ হিসেবেই আজ (৩০ আগস্ট) এই ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আসছে। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই ৫০ লাখ ডোজ কয়েক ধাপে দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।