চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না তা করোনা পরিস্থিতি দেখে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কেরানীগঞ্জের জাজিরা মোহাম্মদিয়া আলিয়া মাদরাসায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করছি আমরা। এখন সেটিও যদি না হয়, আমরা তার বিকল্প নিয়েও চিন্তা করছি। কিন্তু এখন পরীক্ষা আমরা নিতে পারব কি-না, পরীক্ষা নিতে না পারলে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা থাকলে তার সবকিছু নিয়েই কিন্তু আমাদের চিন্তাভাবনা আছে।’
এর আগে, গত ১৩ জুন দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা চলছে।’ করোনা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি না হলে সহসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব নয় বলেও তিনি জানান।
‘পরীক্ষা একবছর দিতে না পারলে এমন কোনো বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না’ মন্তব্য করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দীপু মনি ওইদিন আরও বলেছিলেন, ‘আপনাদের সুস্থতা এবং জীবন আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ব্যাপারে কী করা যায় আমরা সেগুলো নিয়েও ভাবছি।’ এ সময় শিক্ষামন্ত্রী অঅসছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ঘরে বসে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ারও পরামর্শ দেন।
এর আগে, গত ২৬ মে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, ‘আগামী ১৩ জুন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকে করোনার টিকার আওতায় আনার ওপর।’ ওইসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১২ জুন পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকছে, ১৩ জুন থেকে সেগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে।’
এর পরের দিন গত ২৭ মে এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগামী ১৩ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে ওই নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়।