ডিসেম্বর ৮, ২০২১, ০৬:০৮ পিএম
আবরার হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২৫ জন শিক্ষার্থীই নয়, প্রশাসনেরও দায় রয়েছে। সেই হলের প্রাধ্যক্ষ ও হাউজ টিউটরদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন।
আবরার হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর ও আইন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেস্টরুম বন্ধ করার দাবিতে এ সমাবেশ করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট বুয়েট শিক্ষার্থীরা
আকরাম বলেন, “আবরার হত্যায় কেবল শিক্ষার্থীরাই দায়ী নয় বরং তাদের পাশাপাশি বুয়েটের সে হলের (শেরে বাংলা হল) দায়িত্বরত শিক্ষক ও প্রাধ্যক্ষেরও দায় রয়েছে। তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পূর্বে এমন অনেক রায় পরিবর্তন হয়েছে, এই রায়ের ক্ষেত্রেও যেনো তেমন না হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই রায় কর্যকর করার মধ্য দিয়ে জনগনের আস্থা ফিরিয়ে আনার আহ্বানও জানান।”
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, “এই হত্যাকান্ডের পেছনে অন্যতম কারণ হলো গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি। তাই আইন করে এই সংস্কৃতি রুখে দেওয়া এখন সময়ের দাবি।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।