সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, ৫ শতাংশ কোটা বহাল রেখে চাকরির পরীক্ষায় সমতা আনতে হবে।
সোমবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ মিছিল নীলক্ষেত এলাকা প্রদক্ষিণ করে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। ছাত্রদের ভাষ্য, চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের রায় কোনোভাবেই কাম্য নয়। গণতান্ত্রিক দেশে হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত সংবিধানবিরোধী। শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নয়, সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিলের দাবি জানান ছাত্ররা।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আইয়ুব হোসেন বলেন, “বিশেষ প্রয়োজন যাদের, তাদের কথা চিন্তা করে ৫ শতাংশ কোটা বহাল রেখে সব ধরনের কোটা বাতিল করতে হবে।”
আরেক শিক্ষার্থী আফজাল বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর সঙ্গে তাদের সন্তান, নাতিদের চাকরিতে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী চাকরির পরীক্ষায় সমতা চায় শিক্ষার্থীরা।”
শিক্ষার্থী আমিনুর রশিদ বলেন, “মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এভাবে গণহারে সরকারি চাকরিতে সুযোগ দিলে মেধাবীরা সুযোগ হারাবে। সরকারি কর্মস্থলে মেধাবীদের বদলে অযোগ্যরা জায়গা করে নেবে।”
২০১৮ সালে ৪ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে সরকারি চাকরির নিয়োগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ দশ শতাংশ করে জেলা ও নারী কোটা বাতিল করে সরকার। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে কোটা ব্যবস্থা চালু ছিল।গত বুধবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে আবার মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ ঢাকা ও বিভিন্ন জেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। কোটা বাতিলের আগ পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।