নভেম্বর ২২, ২০২১, ১০:২০ এএম
করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন ঢেউ ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ পরিস্থিতিতে সেসব দেশে ফের লকডাউনের ঘোষণা ও টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর এ নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিক্ষোভ। এসব দেশে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে। যা করোনার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) নেদারল্যান্ডসের রোটেরডাম শহরে কয়েকশ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করে। এ মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালায়।
এসময় পুলিশের গুলিতে আহত হন ৭ জন। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ২০ জনকে। শনিবারও (২০ নভেম্বর) বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় আন্দোলনকারীদের।
নেদারল্যান্ডসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ায় সম্প্রতি তিন সপ্তাহের লকডাউন ও বিধিনিষেধ জারি করে ডাচ সরকার। একই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজনে ভ্যাকসিন পাস নিয়ে চলাফেরা বাধ্যতামূলক ও নববর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে দেশটিতে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষও। ফলে পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার।
অন্যদিকে, রোববার (২১ নভেম্বর) করোনার বিধিনিষেধ আরোপের প্রতিবাদে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে কয়েক হাজার মানুষ পদযাত্রায় অংশ নেয়। এসময় পুলিশ তাদের প্রতিহত করতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
ফ্রান্সের ক্যারিবিয়ান দ্বীপ গুয়াদেলুপে রোববারও (২১ নভেম্বর) করোনা বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে দাঙ্গা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া করোনার বিধিনিষেধ বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে ক্রোয়েশিয়া ও ইতালিতেও।
এদিকে, শনিবার (২০ নভেম্বর) ডব্লিউএইচও এর আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুগ বলেছেন, জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী মার্চ মাস নাগাদ ইউরোপে পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড হতে পারে।
মাস্ক পরার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা সংক্রমণ রোধে তাৎক্ষণিকভাবে কাজে লাগতে পারে বলে জানান তিনি।