জুন ১৪, ২০২২, ০৫:২৪ পিএম
‘অগ্নিপথ’ নামে নতুন সশস্ত্র বাহিনীর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। 'অগ্নিপথ' সদস্যদের নিয়োগ প্রকল্পের অধীনে অগ্নিবীর নামক পদও তৈরি করা হবে। ওই প্রকল্পের ঘোষণার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এসব তথ্য তুলে ধরেছেন। নতুন এই সশস্ত্র বাহিনীর ঘোষণার পর দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এটা ‘ঐতিহাসিক’ একটি সিদ্ধান্ত।
মঙ্গলবার সশস্ত্র বাহিনী অগ্নিপথের ঘোষণা অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানগণও উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার এই খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এই সশস্ত্র বাহিনীর প্রকল্পে সাড়ে ১৭ বছর থেকে ২১ বছর বয়সী ৪৫ হাজার নাগরিককে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে। আাগামী ৯০ দিনের মধ্যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং ২০২৩ সালের জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম ব্যাচ প্রস্তুত করা হবে।
যারা এই প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত হবেন তারা ‘অগ্নিবীর’ নামে পরিচিত হবেন। কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। সাধারণ সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে, এই বাহিনীর জন্যও তাই লাগবে। নারীদেরও নিয়োগ দেওয়া হবে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চার বছর মেয়াদের মধ্যে ছয় মাস থাকছে প্রশিক্ষণের জন্য। আর এই চার বছর তাদেরকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার রুপি বেতন দেওয়া হবে। এ ছাড়া তাদেরকে মেডিকেল এবং ইন্সুরেন্স সুবিধা দেওয়া হবে। চার বছর পর এই ৪৫ হাজার সেনা থেকে ২৫ শতাংশ সেনাকে নিয়মিত বাহিনীতে নেওয়া হবে এবং নন-অফিসার র্যা ঙ্কে পুরো ১৫ বছর সেবা দেবেন তারা। বাকিরা ১১ থেকে ১২ লাখ রুপি নিয়ে অবসরে যাবেন। তবে তারা পেনশন সুবিধা পাবেন না। আর দায়িত্ব পালনে গিয়ে আহত বা নিহত হলে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
সরকার বলছে, এই প্রকল্প সশস্ত্র বাহিনীর তারুণ্যকে সমৃদ্ধ করবে এবং সশস্ত্র বাহিনীকে প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন যুদ্ধ বাহিনীতে রূপান্তরের প্রক্রিয়ার দিকে নিয়ে যাবে। তবে সরকারের এই প্রকল্প ঘিরে দেশটিতে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, এই প্রকল্প বাহিনীতে সেনাদের লড়াইয়ের মনোভাবে এবং পেশাদারিত্বে প্রভাব ফেলবে। চার বছর চুক্তি সৈন্যদেরকে ঝুঁকি নিতে অনাগ্রহী করে তুলতে পারে বলে সমালোচকরা উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: এনডিটিভি