সংক্রমণ বাড়লেও কারখানা চালু রাখবে ভিয়েতনাম

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২, ০১:৩৮ পিএম

সংক্রমণ বাড়লেও কারখানা চালু রাখবে ভিয়েতনাম

ভিয়েতনামে ওমিক্রনের রেকর্ড সংক্রমণের মধ্যেও কারখানা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এতে খুশি দেশটির খুচরা ব্যবসায়ীরা।

ভিয়েতনামের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড এপিডেমিওলজির পরিচালক ড্যাং ডুক আনহ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, চলতি বছরে বিস্তৃত লকডাউনের ঝুঁকি খুব কম। ভিয়েতনাম সফলতার সঙ্গে টিকাদান কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে।
 
গত বছরে করোনাসময়ে কয়েক দফা লকডাউনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে ভিয়েতনামকে। এতে করে দেশটির সরবরাহ চেইনে ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছিল। তাই এবারের সংক্রমণে জুতো, পোশাক কারখানা থেকে শুরু করে স্মার্টফোন ও পিসি নির্মাতা কোম্পানিগুলো সচল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভিয়েতনাম সরকার।
 
চলতি সপ্তাহের রবিবারে ভিয়েতনামে সংক্রমণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ হাজারে। গত বছরের দৈনিক রেকর্ডের তুলনায় এই সংখ্যা ছিল প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু গত বছর নাইকি, জারা, অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের মতো কারখানা কয়েক মাস বন্ধ থাকলেও এবার আর সেই পথে হাঁটছে না দেশটির সরকার।
 
যেহতু দেশটির ৭৬ শতাংশ মানুষ টিকার আওতাভুক্ত হয়েছে, সে জন্য প্রায় সব ধরনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। খুলে দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দর ও স্কুল-কলেজ।
 
ভিয়েতনামে মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দ্য আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন হ্যানয়ের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডাম সিটকফ জানান, দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের সম্ভাবনা দেখছি না। সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো এবং কর্তৃপক্ষ অনুধাবন করেছে অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া কঠোর লকডাউন টেকসই সমাধান নয়।
 
গত বছর ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধি নেমে দাঁড়ায় ২ দশমিক ৫ শতাংশে। চলতি বছরে ভিয়েতনামের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। পোশাক, জুতা এবং অন্যান্য শিল্পে সামনের সারির জায়গাটি ধরে রাখতে পারলে অচিরেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা।
 
অ্যাকাউন্টিং ফার্ম ইওয়াইয়ের অংশীদার ডাক মিন এনগুইয়েন বলেন, ভিয়েতনাম যদি কারখানা কার্যক্রম শক্তিশালী রাখে তাহলে তা প্রকৃতপক্ষে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে উপকৃত হবে কৃষি, বস্ত্র ও ইলেকট্রনিকস খাতের ভোক্তারা।
 
এছাড়াও ভিয়েতনাম টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল অ্যাসোসিয়েশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান ট্রুং ভন ক্যাম জানান, নতুন বছরের ছুটি শেষে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ বস্ত্র ও পোশাক খাতের কর্মীরা কাজে ফিরেছেন। গত বছর যে আয় হারিয়েছে তা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন কারখানা শ্রমিকরা। ভিয়েতনামের কারখানা শ্রমিকরা মাসে গড়ে ৩৩০ ডলার আয় করছেন।

Link copied!