২০২২ সালে হিজাব আইন না মানায় পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয় মাহসা আমিনিকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ ওঠে, পুলিশের নির্যাতনে মাহসার মৃত্যু হয়েছে। শুরু হয় বিক্ষোভের। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে এ আন্দোলন ইরান সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ৫ শতাধিক মানুষ। এছাড়াও কয়েক হাজার নারী-পুরুষ-শিশুকে গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনার বছর পেরুতেই নারীদের পোশাকের বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থানে ইরান সরকার। পোশাক বিধি লঙ্ঘনকারী নারীদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান করে সংসদে একটি নতুন বিল পাস করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা।
নতুন পাস হওয়া এই খসড়া আইনে বলা হয়েছে, বিদেশি বা শত্রু দেশের সরকার, সংবাদমাধ্যম, কোনো গোষ্ঠী অথবা সংস্থার প্ররোচনায় পড়ে কেউ হিজাব বা যথাযথ পোশাক না পরলে অভিযুক্তের ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
তবে তিন বছরের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে অনুমোদন দেওয়া এই বিলটি এখনো আইনে পরিণত হয়নি। ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন পেলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে।