ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তার আশ্বাস যুক্তরাজ্যের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ১৮, ২০২২, ০৫:৪৫ পিএম

ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তার আশ্বাস যুক্তরাজ্যের

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে উক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গতকাল শুক্রবার অঘোষিত খবর কিয়েভ সফরে এসে তিনি এই আশ্বাস দেন। খবর স্কাই নিউজের।

স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সেনাবিাহিনী হামলা শুরুর পর দ্বিতীয়বারের মতো ইউক্রেন সফরে যান বচরিস জনসন।  গেলেন বরিস। বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করেন তিনি। সফরে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন তিনি। জানান প্রতি ১২০ দিনে ১০ হাজার সেনাকে প্রশিক্ষণের পরিকল্পনার কথা।

এ সময় কিয়েভকে কৌশলগত সহায়তার কথাও বলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। জেলেনস্কি প্রশাসনকে কূটনৈতিক সমর্থনের পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও জানান জনসন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী  বলেন, “উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেসামরিকদের টার্গেট করছে রুশ বাহিনী। জবাবে ইউক্রেনীয় সেনাদের বীরত্বকে স্যালুট জানাই। পুতিনের সেনারা সর্বোচ্চ চাপে আছে আর সেজন্য হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।”
ইউক্রেনীয়দের প্রতি সাহায্য অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেলেনস্কি প্রশাসনকে আরো একবার জানাতে এসেছি যে আমরা পাশে আছি। পুতিন প্রশাসনের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। কিয়েভকে সামরিক সহায়তাও অব্যাহত থাকবে।”

প্রসঙ্গত, উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় মস্কো-কিয়েভের দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো।

তবে ওই কৌশল কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এর দুদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে।

Link copied!