সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ১০:৪১ এএম
ইরানে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মাহসার মৃত্যুর পরই রাজধানী তেহরানসহ পশ্চিম ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে মুখ খুললো পুলিশ। এই মৃত্যুকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বললেন তেহরান পুলিশের প্রধান। এ ধরণের ঘটনা আর ঘটবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, পুলিশের তরফ থেকে যদিও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশের ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল হোসেইন রাহিমি একে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘কাপুরুষোচিত অভিযোগ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। যদিও দেশের সাধারণ মানুষ বিষয়টি মানতে পারছে না। পুলিশের এমন আচরণের সঙ্গে তারা পরিচিত।
পুলিশ প্রথম থেকেই আমিনিকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, আমিনির আগে থেকেই শারীরিক সমস্যা ছিল এবং হৃদরোগের সমস্যার কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
তবে তার বাবা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার মেয়ে পুরোপুরি সুস্থ ছিল এবং হৃদরোগেরও কোনো সমস্যা ছিল না। পুলিশ তার মেয়ের পায়ে ভয়াবহভাবে পিটিয়েছে।
আমিনির পরিবারের বরাতে ইরান ওয়্যার ওয়েবসাইট, শার্গ সংবাদপত্রসহ কয়েকটি পারসি ভাষার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, আটকের আগে আমিনি শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন। আটক হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, নিরাপত্তা হেফাজতে ২২ বছর বয়সী তরুণী মাহসা আমিনির সন্দেহজনক মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও অন্যায় আচরণের যেসব অভিযোগ উঠেছে, অবশ্যই এর তদন্ত করতে হবে।যুক্তরাষ্ট্রের ইরানবিষয়ক দূত রবার্ট ম্যালি এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, আমিনির মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
এর আগে আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করতে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।