জুলাই ১১, ২০২২, ০৯:৩৫ পিএম
সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে উবারের বেশ কিছু গোপন নথি। ওইসব নথির ভিত্তিতে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, উবার তার ব্যবসা বিস্তারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট, ধনকুবের, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তা পেয়েছে। উবারের ফাঁস হওয়া ১ লাখ ২৪ হাজার গোপন নথিতে আইন লঙ্ঘন, প্রতারণা ও চালকদের শোষণের অভিযোগ উঠেছে।
নথিতে দেখা গেছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাবেক কমিশনার নিল ক্রোয়েসের মতো হোমরাচোমরা ব্যক্তিরা উবারকে তাদের অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে নিতে মারাত্মকভাবে মদদ জুগিয়েছে।
উবারের ১ লাখ ২৪ হাজার গোপন নথির মধ্যে রয়েছে ৮৩ হাজার ইমেইল ও ১ হাজার অনলাইন কথোপকথন। মূলত নথিগুলো ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যের সময়কার।
নথিগুলো আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি প্যানোরমা ও আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সংস্থার (আইসিআইজে) মাধ্যমে জনসম্মুখে ফাঁস করা হয়েছে। নথিগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তৎকালীন সময়ে ইউরোপের ট্যাক্সি ব্যবসাকে ধ্বংস করে দিতে উবার কী কী অনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে ও কারা উবারকে এসব কাজে গোপনে সাহায্য করেছে।
উবারকে সুবিধা দিতে সেসময়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দেশের আইনে পর্যন্ত পরিবর্তন এনেছিলেন। নথিতে দেখা যায়, উবার কর্তাব্যক্তিদের কাছে পৌঁছাতে ৯০ মিলিয়ন ডলার লবিস্টদের পেছনে খরচ করেছিল।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, উবার কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ যাতে স্পর্শকাতর তথ্য না পায় সেজন্য ‘কিল সুইচ’ ব্যবহারের আদেশ দিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। অন্তত ছয়টি দেশে তারা এ ধরনের নির্দেশনা দেন বলে নথিতে উঠে এসেছে।
এছাড়াও ফাঁসকৃত নথিতে দেখা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাবেক কমিশনার নিল ক্রোয়েস অবসরের পরে উবারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এসব কর্তাব্যক্তিরা নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থে ও মোটা অঙ্কের টাকার লোভে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিকভাবে উবারকে সাহায্য করে আসছিল।