উত্তর কোরিয়ায় খুব জাকজমকের সাথেই উদযাপন হয় দেশটির প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং-এর জন্মদিন। সাধারনত এদিন চোখ ধাঁধানো সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করে দেশটি। সেইসাথে কুচকাওয়াজে নিজেদের পারমাণবিক শক্তিমত্তাও প্রদর্শণ করে তারা। চলে ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষাও।
তবে এ বছর ছিল না এসবের কিছুই! না কুচকাওয়াজ, না কোনো ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা! এমনকি কোনো বক্তব্যও দেননি উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা এবং দেশটির ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান কিম জং উন। এদিন কিম জং উন তাঁর দাদা কিম ইল সাংয়ের সমাধি পরিদর্শন করেছেন এবং একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। এ টুকুই!
প্রথমে কিম ইল সাং, এরপর কিম জং ইল এরপর বর্তমানের কিম জং উন, তিনপুরুষের পালাবদলে ১৯৪৮ সালের পর থেকে উত্তর কোরিয়াকে এককভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে কিম পরিবার।
১৫ এপ্রিল ছিলো উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং এর ১১০ তম জন্মদিন। তবে বরাবরের মতো পিয়ংইয়ং এর প্রধান সিটি স্কয়ারে আতশবাজি প্রদর্শন ও ঐতিহ্যবাহী নাচে অংশ নেন হাজারো মানুষ। ঐতিহ্যবাহী কোরিয়ান পোশাকে নাচে, গানে মুখর ছিলো স্কয়ার। কিম সাং এর জন্মদিনটি উত্তর কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিনের একটি।
কিমের দাদা ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার নেতা কিম ইল সাং এর জন্মদিনে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং- এর ঐতিহ্যবাহী প্যারেড স্কয়ারে প্রতিবছর বিশাল কুচকাওয়াজেরে আয়োজন করা হয়। নিজের বেলকনি থেকে সেই কুচকাওয়াজ দেখে থাকেন কিম জং উন। তবে এবার সেটি ছিল না।
১৯৪৮ সাল থেকে একটানা ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কিমের দাদা কিম ইল সাং উত্তর কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ৭২ থেকে ১৯৯৪ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশটির রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর উত্তর কোরিয়ার দায়িত্ব নেন কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল। ২০১১ সালে কিমের মৃত্যুর পর উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার আসনে বসেন কিম জয় ইলপুত্র কিম জং উন। এরপর থেকে প্রায়শঃ তিনি বিশ্ব সংবাদের শিরোনাম হচ্ছেন।