সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ডাকা সোমবারের সাধারণ ধর্মঘটে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে মিয়ানমার। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিসগুলো বন্ধ রয়েছে। জান্তা সরকারের দেওয়া হত্যার হুমকি উপেক্ষা করেও রাজপথে নেমেছে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর সোমবারই দেশটিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাইরের দুনিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সামনে সমবেত হয়।
জান্তা সরকারের দফায় দফায় হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই ইয়াঙ্গুনের রাজপথে হাজার হাজার মানুষ নেমে আসে। তীব্র রোদের মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা বন্দিদের মুক্তির দাবিতে আওয়াজ তোলে। অফিস-আদালতে না যাওয়া এবং ধর্মঘট সফলের আহ্বান জানিয়ে স্লোগান দেয় তারা।
সিভিল ডিসঅবিডিয়েন্স মুভমেন্ট (সিডিসি) নামে একটি সংগঠন নাগরিকদের রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছিল। সংগঠনটি এক টুইটে জানায়, লাখ লাখ মানুষ তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। প্রতিটি শহর যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
ইয়াঙ্গুনে ২২ বছরের বিক্ষোভকারী হেট হেট হ্লাং বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সোমবারের বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ভয় পেয়েছিলেন এবং প্রার্থনা করেছিলেন। তবে তিনি আন্দোলন থেকে নিরুৎসাহিত হবেন না। হ্লাংয়ের ভাষায়, ‘আমরা জান্তা সরকার চাই না। আমরা গণতন্ত্র চাই। আমরা আমাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মা আমাকে এই বিক্ষোভ থেকে আটকে রাখেননি। তিনি শুধু বলেছেন, নিজের খেয়াল রেখো।’
এদিকে টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে পুনর্বহালের দাবি করায় যারা বার্মার মানুষের বিরুদ্ধে সহিংসতা চালায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। ওয়াশিংটন বার্মার জনগণের পাশে রয়েছে।
সূত্র: দা স্ট্রেইটস টাইমস