মার্চ ২২, ২০২১, ০৮:৫৫ পিএম
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি পরমাণু ইস্যুতে তার দেশের সুনির্র্দিষ্ট নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির অঙ্গীকারে ফেরার আগে প্রথমে ইরানের ওপর থেকে সকল মার্কিন অবরোধ তুলে নিতে হবে।
রবিবার ফার্সি নববর্ষ নওরোজ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন দেশটির সর্বোচ্চ আধ্যাত্নিক এ নেতা। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভাষণে তিনি বলেন, আমেরিকাকে আগে সকল অবরোধ তুলে নিতে হবে। এরপর আমরা যাচাই করে দেখবো। তারা সত্যিই অবরোধ তুলে নিলে পর আমরা পরমাণু চুক্তির অঙ্গীকারে ফিরে যাবো।
খামেনি জোর দিয়ে বলেন, অবরোধ প্রত্যাহার শুধু কাগজে-কলমে হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। অবরোধ প্রত্যাহার হতে হবে বাস্তবিক।
তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনীতিকে কোনো অবস্থায় সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলা যাবে না।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমাদের যুবসমাজ নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন এবং অনেক পণ্য দেশেই তৈরি করে ইরানকে পরনির্ভরশীলতা থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এটি আমাদের জন্য ছিল একটি মূল্যবান শিক্ষা।
নিষেধাজ্ঞার মোকাবিলায় আমাদের দু’টি করণীয় রয়েছে। প্রথমত, আমরা নিষেধাজ্ঞা আরোপকারীর কাছে গিয়ে অনুরোধ করতে পারি যে, আপনারা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিন। তখন সে আমাদের ওপর সাম্রাজ্যবাদী দাবি-দাওয়া চাপিয়ে দেবে। এই পথটি অপমানজনক ও অবমাননাকর।
দ্বিতীয় পথ হচ্ছে- নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে সব অর্থনৈতিক প্রয়োজন দেশের ভেতরেই মেটানোর চেষ্টা করা। ইরানি জনগণ দ্বিতীয় পথ বেছে নিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বারাক ওবামার শাসনামলে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে যে চুক্তি করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে তা বাতিল করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরমাণু চুক্তি নতুন করে চালু করতে তার প্রস্তুতির আভাস দেন। কিন্তু তার প্রশাসন জোর দিয়ে বলেছে, ইরানকে আগে পরমাণু চুক্তির অঙ্গীকারে ফিরতে হবে।
কিন্তু খামেনি বলেন, তারা যদি আমাদের নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে তবেই সবকিছুরই সমাধান হবে। আর যদি তা না হয় তবে এভাবেই চলবে।