ভারতের ধনীতম রাজ্য মহারাষ্ট্রে করোনার ব্যাপক সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনায় এই সপ্তাহে কঠোর লকডাউন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে রাজ্য প্রশাসন। রবিবার (২৭ মার্চ) একদিনে মোট ৪০,৪১৪জন নতুর রোগী শনাক্ত হওয়ায় রাজ্যটিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কঠোর করা হয়েছে এবং রাতের কারফিউ চালু করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়,‘ রবিবার টাস্কফোর্সের সভায় সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউনের মতো কর্মসূচী গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।’
রাজ্য সরকারের এক প্রবীণ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘শীঘ্রই’ লকডাউন দেওয়া হতে পারে কারণ, সরকারী কর্মকর্তাদের লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত হতে বলা হয়েছে।
রবিবার ভারতে চব্বিশ ঘন্টার ব্যবধানে মোট ৬২২,১৪১৪ টি নতুন রোগী শনাক্ত ও অন্তত ৩১২ জন মারা গেছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে অক্টোবরের পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে এইদিন ।
মুম্বাইয়ের মেয়র কিশোর পেডনেকর বলেছেন, ‘আমরা বস্তির তুলনায় আবাসিক এলাকাগুলোতে সংক্রমণের হার বেশি দেখছি। ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে শুধুমাত্র রাতে প্রয়োজনীয় পরিষেবার অনুমতি দেওয়া হবে। এছাড়া হোটেল, পাব এবং শপিংমলগুলি অবশ্যই লকডাউনের আওতায় থাকবে।’ তিনি আরও জানান, মুম্বাইয়ের একটি আবাসিক এলাকায় পাঁচ বা তার বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হলেই সে এলাকা লকডাউন করা হবে।
মহারাষ্ট্রের প্রধান স্বাস্থ্য সচিব ডাঃ প্রদীপ ব্যাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাজ্যে করোনা রোগীর জন্য প্রস্তুতকৃত ৩৫৭,০০০ বেডের মধ্যে ১০৭,০০০ টি ইতোমধ্যে রোগীতে ভর্তি হয়ে গেছে। তিনি আর জানান, ইতোমধ্যে এমনকি বেশ কয়েকটি জায়গায় করোনা রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় বেড ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম নেই।
দেশটির কেরালা, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, গুজরাট, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা এবং মধ্য প্রদেশেও সংক্রমণ বাড়ছে। দিল্লি, মুম্বই এবং আরও কিছু জেলায় হিন্দুদের হোলি উৎসব ও মুসলিমদের শবে বরাত সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পরায় স্বাভাবিকভাবেই রাস্তায় লোক সমাগম বেশি ছিল। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, রবিবার কয়েকশ লোক গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরে একটি হোলি অনুষ্ঠানের জড়ো হয়েছিল।
সূত্র:আল-জাজিরা।