এপ্রিল ৪, ২০২২, ০২:৩৮ পিএম
পাকিস্তানের ইতিহাসে ৩ এপ্রিল অন্ধকারতম দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান মুসলীম লীগ (এন) প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পরিষদের সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা শেহবাজ শরীফ। তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেওয়া পদক্ষেপ ‘অসাংবিধানিক’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জাতীয় পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ার পর সোমবার ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খবর জিও টিভির।
পাঞ্জাব রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “ইমরান খান দেশজুড়ে ‘সিভিলিয়ান মার্শাল ল’ জারি করেছেন। তার এ পদক্ষেপ ‘অসাংবিধানিক’।”
ইমরান খান অসাংবিধানিক পদক্ষেপ নিয়েছেন উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ছোট ভাই শেহবাজ আরও বলেন, “তিনি পাকিস্তানের ইতিহাসে ৩ এপ্রিল অন্ধকারতম দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে । এর আগে জেনারেল পারভেজ মোশাররফও এ ধরনের অসাংবিধানিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর।
পিটিআই-এর নেতৃত্বাধীন সাবেক সরকারকে ‘ব্যক্তিকেন্দ্রীক সরকার, সর্বগ্রাসী ও ফ্যাসিস্ট’ হিসেবেও অভিহিত করেন শেহবাজ।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি, জামিয়াত ই-উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই) নেতা আসাদ মেহমুদ, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের আহবায়ক (এমকিউএম-পি) খালিদ মকবুল সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে গতকাল রবিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। অনাস্থা প্রস্তাবটি দেশটির সংবিধানের পঞ্চম অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি তা খারিজ করে দেন।
এর পরেই জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে প্রেসিডেন্টকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন ইমরান খান। তার কিছক্ষণ পরেই আইনসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
এই পরিস্থিতিতে আগামী তিন মাস অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।